
Murshidabad News: মুর্শিদাবাদের জাফরবাদে বাবা-ছেলে খুনের ঘটনায় নয়া মোড়। পুলিশি তদন্তে উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, প্রধান অভিযুক্ত বিদ্যুৎ মিস্ত্রি ইনজামাম হক খুন হওয়া হরগোবিন্দ ও চন্দনের পরিবারের সঙ্গে আগে থেকেই চেনাশোনা ছিল। এই বিষয়ে মৃতের পরিবারের স্পষ্ট দাবি, অভিযুক্ত ওই বিদ্যুৎ মিস্ত্রি তাদের গ্রামে আসত। শুধু তাই নয়, দিনের অনেকটা সময় এখানেই সে পড়ে থাকত বলেও জানিয়েছেন মৃতের পরিবারের লোকেরা।
সূত্রের খবর, ওই মিস্ত্রির সঙ্গে এলাকার লোকজনের ভালোই পরিচিতি ছিলো। সে এই ধরনের কাজ করবে বা খুন করতে পারে তা ঘুণাক্ষরেও টের পাওয়া যায়নি। তবে এই ঘটনায় আরও অনেক দোষী রয়েছে। তারা গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছে বলে দাবি করেছেন মৃতের পরিবারের লোকজন।
জানা গিয়েছে, আসেপাশের গ্রামের এমন অনেকেই তাদের গ্রামে আসত যারা খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। এই ঘটনার সঙ্গে সেইসব দুস্কৃতীরা যুক্ত রয়েছে বলে অভিযোগ ওই পরিবারের। তবে সবদিক খতিয়ে দেখে গোটা ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে সিট।
অন্যদিকে এই ঘটনায়, পুলিশের ভূমিকা নিয়েও সুর চড়িয়েছেন মৃত হরগোবিন্দ ও চন্দনের পরিবারের লোকেরা। এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া ১০ লক্ষ টাকার অনুদান ফিরিয়ে দিয়েছেন তারা। তাঁদের দাবি, অনুদান দিয়ে কোনও ভাবেই এই ঘটনাকে ধামা চাপা দেওয়া যাবে না। একই সঙ্গে সুর চড়িয়েছেন পুলিশি নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে।
উল্লেখ্য, গত ১১ এপ্রিলের পর থেকে ওয়াকফ ইস্যুতে দফায় দফায় অশান্তিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন এলাকা। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগে হাইকোর্টের নির্দেশে নামানো হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। এখনও এই জেলায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি-গণ্ডগোল রুখতে অব্যাহত রয়েছে সেনার টহল। এরই মধ্যে মুর্শিদাবাদে বাবা-ছেলের খুনের ঘটনায় তদন্তভার হাতে নিয়েছেন এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতীম সরকার।
পুলিশ সূত্রে খবর, সুপ্রতীম সরকার তদন্তভার হাতে নেওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই গ্রেফতার বাবা-ছেলে খুনে মূল অপরাধী। ধৃতের নাম ইনজামুল হক। সুতি থেকে গ্রেফতার করা হয় ওই ব্যক্তিকে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান বাবা-ছেলে খুনে মাস্টার মাইন্ড ছিলো এই ইনজামুল হক। সব মিলিয়ে এখন দেখার জাফরবাদে বাবা-ছেলের খুনের ঘটনার তদন্ত কোন দিকে মোড় নেয়।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।