
Nagrakata TMC News: উত্তরবঙ্গে এসে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তিনি প্রথমেই পৌঁছে গিয়েছিলেন নাগরাকাটায়। সেখানে গিয়ে বামনডাঙ্গা চা বাগানে মৃতদের পরিবারের হাতে পাঁচ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন তিনি। কথা বলেন বন্যাদুর্গতদের সঙ্গে। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে সেখানে পৌঁছান মাল পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতা স্বপন সাহা (Swapan Saha)।
মুখ্যমন্ত্রীকে ‘দিদি’ বলে সম্বোধন করে একবার প্রণাম করতে দেওয়ার অনুরোধও করেন তিনি। যদিও সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই।এই দৃশ্যের একটি ভিডিও বর্তমানে ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে স্বপনকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আমাকে শাস্তি দিন, কিন্তু দলে ফিরিয়ে নিন দিদি।’ এরপর তিনি প্রণাম করতে চাইলেও মুখ্যমন্ত্রী কার্যত পাত্তা না দিয়েই সামনের দিকে হেঁটে চলে যান। এক সময়ের দাপুটে নেতার এমন করুণ চিত্র দেখে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা মন্তব্য করেছেন।
প্রসঙ্গত, ১২০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির দায়ে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হয় স্বপন সাহাকে। পরবর্তীতে বিভিন্ন টালবাহানার পর চলতি বছরের জানুয়ারির শেষদিকে মাল পুরসভার চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। যদিও এক সময়ের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতার চোখেই ডুয়ার্সের একটি বড় এলাকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেখতেন মুখ্যমন্ত্রী।
অন্যদিকে, বিধানসভা নির্বাচনের মুখেই বড় ধাক্কা গেরুয়া শিবিরে। উত্তরবঙ্গে ভাঙল দল। মাদারিহাট উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী রাহুল লোহার দল বদল করলেন। হাতে তুলে নিলেন ঘাসফুল পাতাকা। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেই বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। স্পষ্ট করে জানিয়েছেন কাজ করতে চান। সেই কারণেই তিনি দল বদল করলেন। তিনি আরও বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কাজ করার জন্যই তিনি দল বদল করেছেন। বিজেপি বিরুদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগও তোলেন। তিনি বলেন, আগামী দিনে তিনি বিজেপির একাধিক দুর্নীতি ফাঁস করবেন।
রাহুল লোহার জানিয়েছেন, তিনি বিজেপির নিচু তলার কর্মী ছিলেন। সেখান থেকেই তাঁর উত্থান। কিন্তু দলের সাংসদ বিধায়করা এলাকার মানুষের জন্য উন্নয়ন করছে না। কোনও কাজ করছে না। আর সেই কারণে তাদের মত নিচু তলার কর্মীদেরই জবাব দিতে হচ্ছে। তিনি বলেন, আলিপুরদুয়ারের সাংসদ এলাকার মানুষের জন্য কাজ করছেন না। আর সেই কারণেই তিনি দল বদল করেছেন।
রাহুল লোহারকে মাদারিহাট উপনির্বাচনে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। বিজেপি সাংসদ মনোজ টিগ্গা এই কেন্দ্রে বিধায়ক ছিলেন। তিনি সাংসদ হওয়ায় নির্বাচন হয়। সেখানে রাহুলকে প্রার্থী করে বিজেপি। কিন্তু রাহুল লোহার জয় এনে দিতে পারেননি। তৃণমূলের প্রার্থী জয়প্রকাশ টোপ্পো জয়ী হয়। এই প্রথম মাদারিহাটে পা রাখতে পারেছিল তৃণমূল। এবার সেই তৃণমূলই রাহুলের মত বিজেপি নেতাদের দলে এনে আরও শক্তিশালী হল বলেও দাবি করা হচ্ছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।