
"২০২৬ সালে পুনরায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে মুখ্যমন্ত্রী করার পরে আমাদের লড়াই থামবে এমনি বার্তা উঠে এলো পুলিশের রাজ্য সম্মেলনের অনুষ্ঠান থেকে "
আজ পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটির আয়োজিত পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ও ওয়েলফেয়ার কমিটির উদ্যোগে মহিলা পুলিশ কর্মীদের দ্বিতীয় রাজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠানে। যা নিয়ে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। আজ পশ্চিমবঙ্গ মহিলা ওয়েলফেয়ার কমিটির উদ্যোগে মহিলা পুলিশ কর্মীদের দ্বিতীয় রাজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় দীঘা রাজ্য সাধারণ হাসপাতালের মাঠে। এই অনুষ্ঠানে একাধিক মন্ত্রিসহ পুলিশের পদাধিকারীরা ও উপস্থিত ছিলেন।
এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটির কনভেনার শ্রী ভিজি তাস্য রাউত বলেন আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ কর্মীদের জন্য নানান ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ করছেন। আমাদের বিভিন্ন দাবি দেওয়া রয়েছে ভবিষ্যতে ও দাবিতাবা থাকবে তবে ২০২৬ সালে মে মাসে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে পুনরায় প্রতিষ্ঠা করতে পারলে আমাদের এই লড়াই থামবে। জানি ইতিমধ্যে বিরোধীরা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি।
এদিন সভা মঞ্চে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সেচ ও জল পথ মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন মৎস্য দপ্তরের মন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী বন ও শনির্ভর গোষ্ঠীর মন্ত্রী বীরবাহার হাজদা পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী শিউলি সাহা, খাদ্য সরবরাহ মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি বিধায়ক অখিল গিরি জেলা পুলিশ সুপার ভট্টাচার্য এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ও কলকাতা পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটির শান্তনু সিনহা বিশ্বাস।
যেখানে বিরোধীরা বার বার বলে এসেছেন পুলিশ দল দাস হিসেবে কাজ করছে পুলিশ নিরপেক্ষতা বজায় রাখছে না সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আজকের এই বক্তব্য যেন অনেকটাই বিরোধীদের বক্তব্যে সিলমোহর দিল। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই বিষয়ে মঞ্চে উপস্থিত ও এলাকার বিধায়ক অখিলগিরী বলেন, "এই পুলিশকর্মীরা ভালোভাবে কাজ করছেন তারা ১২ মাস কাজ করে চোদ্দ মাসের বেতন পান তাই তারা মুখ্যমন্ত্রীকে ভালোবেসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে তারা চতুর্থবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চাইছেন তাই জন্য এই ধরনের বক্তব্য রেখেছেন।"
যেখানে বারবার বলা হয় পুলিশ সর্বদা নিরপেক্ষ এবং নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি তে কাজ করা উচিত সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আজকের এই বক্তব্য অনেকটাই ভোটের আগে বিরোধীদের কাছে প্রচারের হাওয়া তুলো দিল।এই বিষয়ে কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মন্ডল বলেন, “রাজ্যের কাছে আরেকবার প্রমাণ হয়ে গেল যে উর্ধিধারী কিভাবে দলের হয়ে কাজ করে এবং তা সমাজের কাছে আরেকবার স্পষ্ট হল।”