হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী তাপমাত্রার পারদ চড়ছে রাজ্যে। তবে শুক্রবারের আবহাওয়ায় রয়েছে বড় চমক।
হাওয়া অফিসের পূর্বভাস অনুযায়ী সোমবার থেকেই তাপমাত্রার পারদ চড়তে শুরু করেছে। সোমবার সকাল থেকেই উত্তূরে হাওয়ার দাপট অনেকটাই কমে গেছে। মহ্গলবার তাপমাত্রার পারদ আরও বাড়বে বলেও জানিয়েছে হাওয়া অফিসের। কিন্তু এখনই বিদায় নিচ্ছে না শীত। সপ্তাহ শেষে পড় চমক রয়েছে। কারণ আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ শুক্রবার থেকেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলাতেই তাপমাত্রার পারদ অনেকটা নেমে যাবে। আগামী ১০ তারিখে একটু তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা থাকছে। ১১-১২ আবার তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকছে। ১৩,১৪ তারিখ নাগাদ আবার একটু তাপমাত্রা কমে যাওয়া সম্ভাবনা থাকছে।
আগেই বলা হয়েছিল পাঁচ তারিখ থেকে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল সেটা শুরু হয়ে গেছে, আগামী দিনে তাপমাত্রা আরও বাড়বে দু থেকে তিন ডিগ্রি দক্ষিণবঙ্গে। এদিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্র ছিল ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫.৯ ডিগ্রি। যা স্বাভাবিকের তুলনায় ১ ডিগ্রি কম। আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবারও সর্বোচ্চ ও সর্বনির্মতাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি ও ১৬ ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে।
উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে তাপমাত্রার তেমন কোন পরিবর্তন নেই। আগামী পাঁচ দিন দার্জিলিং ও কালিম্পং খুব হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকছে। আলিপুরদুয়ার ও কুচবিহারে একটু ঘন কুয়াশার সম্ভাবনা থাকবে। বাকি জেলাগুলিতে হালকা কুয়াশার সম্ভাবনা থাকছে ।
দক্ষিণ বঙ্গের দুই ২৪ পরগনা পূর্ব মেদিনীপুর হাওড়া হুগলি কলকাতা নদীয়া এই জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকার সম্ভাবনা থাকছে। বঙ্গোপসাগর থেকে কিছু জলীয় বাষ্প ডুকছে দক্ষিণবঙ্গে, দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। ১১ ও ১২ তারিখ ম্যাক্সিমাম টেম্পারেচার একটু বাড়বে।
গত জানুয়ারি মাসে তাপমাত্রার পারদ অনেকটাই চড়া ছিল। সেই সময় হাওয়া অফিস জানিয়েছিল উষ্ণতম জানুয়ারি। কারণ দুটি স্পেলে ৬ দিন করেই দিন ও রাতের তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই বেশি। এই অবস্থায় ফেব্রুয়ারিতে তাপমাত্রার এই পতন অনেকের কাছেই স্বাভাবিক ছিল না। তবে তাপমাত্রার এই পতনে কিন্তু খুশি এই রাজ্যের শীতবিলাসীরা।
জানুয়ারি মাসের শেষ থেকেই তাপমাত্রার পারদ ক্রমশই নিম্নগামী। ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম চার দিন তা অব্যাহত রয়েছে। আগামী সপ্তাহেও শীতের আমেজ থাকবে বলেও জানিয়েছে হাওয়া অফিস। একটানা শীত না থাকলেও ক্ষেপে ক্ষেপে শীত এবার একটি লম্বা ইনিংস খেলল বলা চলে।