ফের একবার পণের জন্য মৃত্যু। তাও আবার ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গের বুকে। অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধুকে খুন করে বাড়িতে রেখে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে।
ফের একবার পণের জন্য মৃত্যু। তাও আবার ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গের বুকে। অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধুকে খুন করে বাড়িতে রেখে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে।
এই ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুর থানা এলাকার শঙ্করপুর-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজগরা এলাকায়। বুধবার রাতেই সেই পুত্রবধূর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার, দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় শ্বশুরবাড়ির দুজনকে ইতিমধ্যেই আটক করেছে পুলিশ। বাকিরা যদিও পলাতক। তাদের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান শুরু করে দিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, বহড়ু এলাকার বাসিন্দা রুকসানা বিবির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত সাহিলের। তবে প্রায় ৮ মাস আগে রুকসানার অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হলেও, প্রেমিক সাহিলের হাত ধরে পালিয়ে যায় সে। পরে তারা বিয়েও করে।
এমনকি, রুকসানার পরিবার সেই বিয়ে মেনেও নেয়। এদিকে মৃত্যুর সময় রুকসানা অন্তঃসত্ত্বা ছিল বলেই দাবি করেছে তাঁর পরিবার। মৃতার বড় দাদা খোকন শেখ জানান, “আমার বোনের উপর রীতিমতো মানসিক অত্যাচার চালানো হত। এমনকি, পণের জন্য চাপ দিত ওরা। সেই কথা রুকসানা নিজেই ওর অন্য আরেক বোনকে বলেছিল। আমি প্রত্যেক দোষীর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
অন্যদিকে, বাবা রোশন শেখ বলেন, “আমার মেয়েকে খুন করা হয়েছে। আমি দোষীদের শাস্তি চাই।” তাঁর অভিযোগ, পণের জন্যই শ্বশুরবাড়ির লোকেরা রুকসানাকে খুন করেছে। এমনকি, একই দাবি করেছেন মৃতার দিদি জাসমিনা বিবিও। ঘটনার পর ঐ এলাকায় যান স্থানীয় শঙ্করপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দীপক নস্কর। তিনি বলেন, “গতকাল রাত ১১টার পর এই ঘটনার খবর পেয়ে গেছিলাম। পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছি, যেন এই ঘটনার সঠিক তদন্ত হয়।”
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।