'গোটা পশ্চিমবঙ্গ বারুদের স্তুপের ওপর বসে আছে!' কেন এমন কথা বললেন দিলীপ ঘোষ

এবার ফের মুখ খুললেন তিনি। এদিন তিনি বলেন বাংলা বারুদের স্তূপে বসে আছে এবং এখানকার পরিস্থিতি যে কোনও সময় খারাপ হতে পারে।

Parna Sengupta | Published : Apr 10, 2024 10:06 AM IST

একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করে সংবাদ শিরোনামে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে সাংসদ হলেও, এবার দিলীপের কেন্দ্র বদলে গিয়েছে। তিনি সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে মমতার পিতৃপরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী গোয়া গিয়ে বলেছেন, আমি গোয়ার মেয়ে। ত্রিপুরায় গিয়ে উনি বলেছেন, আমি ত্রিপুরার মেয়ে। তাঁর আগে ঠিক করা উচিত বাবা কে।’ এই মন্তব্য নিয়েই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তীব্র আক্রমণ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

এবার ফের মুখ খুললেন তিনি। এদিন তিনি বলেন বাংলা বারুদের স্তূপে বসে আছে এবং এখানকার পরিস্থিতি যে কোনও সময় খারাপ হতে পারে। দিলীপ ঘোষ বলেন, বাংলায় দেশবিরোধী কার্যকলাপ বন্ধ করতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করা দরকার। এই বিজেপি নেতা তৃণমূল কংগ্রেসকে তুষ্টির রাজনীতি করার এবং জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে খেলার জন্য অভিযুক্ত করেছেন।

বাংলায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে

একটি সাক্ষাত্কারে, দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন যে 'বাংলায় অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারি এবং জঙ্গি মডিউলের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ একটি সীমান্ত রাজ্য, যেখানে আইনশৃঙ্খলা ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে। এখানে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকির মত। রাজ্যে বোমা তৈরির কারখানা চলছে এবং জঙ্গি মডিউল দেখায় যে রাজ্য অনুপ্রবেশকারী এবং দেশবিরোধীদের জন্য নিরাপদ স্থানে পরিণত হয়েছে।

সীমান্তবর্তী এলাকায় জনসংখ্যার পরিবর্তন ঘটছে

দিলীপ ঘোষ রাজ্যের সীমান্ত এলাকায় জনসংখ্যার পরিবর্তন নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের তুষ্টির রাজনীতির কারণেই এমনটা হচ্ছে।' তিনি বলেন, 'তৃণমূল শাসনে জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে খেলা হচ্ছে। তাঁর দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে সন্দেশখালি এবং ভূপতিনগরের মতো অনেক এলাকা রয়েছে, যেখানে দেশবিরোধী উপাদানেরা অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যে কোনো সময় পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে এমন পরিস্থিতিতে পৌঁছেছে রাজ্য। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানোর জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির প্রয়োজন রয়েছে।

আরও খবরের জন্য এশিয়ানেট নিউজ বাংলা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে চোখ রাখুন, এখানে ক্লিক করুন।

Share this article
click me!