আরাবুলকে আলাদা করে কোনও দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। ভোটের ফলেও এবার অন্য কথাই বলল। আরাবুলের নিজের গ্রামে জিতল না তৃণমূল।
আরাবুলের গড়ে ধাক্কা খেল তৃণমূল। ভাঙরের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক বিধায়ক আরাবুল ইসলামের গ্রাম পোলেরহাট ২। একসময় গোটা ভাঙরের রাশ থাকত আরাবুলের হাতেই। তবে এখন আর সেই প্রতিপত্তি নেই। এবার আর আরাবুলের হাতে ছিল না ভাঙরের দায়িত্বও। পঞ্চায়েত ভোট সামলেছেন ক্যানিং ২-এর বিধায়ক শওকত মোল্লা এবং তাঁকে সাহায্য করেছেন বিধাননগরের পুরসভার চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত। আরাবুলকে আলাদা করে কোনও দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। ভোটের ফলেও এবার অন্য কথাই বলল। আরাবুলের নিজের গ্রামে জিতল না তৃণমূল।
ভাঙড় ২ ব্লকের গ্রাম পোলেরহাট ২। পোলেরহাট ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ২৪টি আসনের মধ্যে ১৬টি আসনের ফল ঘোষণা হয়েছে (দুপুর ২টো পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী)। তার মধ্যে ১৫ আসনে জয়ী শাসকবিরোধী জমি রক্ষা কমিটি এবং আইএসএফের জোট। মাত্র একটি আসনে জয়ী তৃণমূল।
অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে একাধিকবার শোনা গিয়েছে তাঁর মামাবাড়ির গ্রাম কুসুম্বাগ্রামের কথা। বীরভূমের মপুরহাট মহকুমার অন্তর্গত এই গ্রাম। একে অনুব্রতহীন বীরভূমের দায়িত্ব নিজের হাতে নিয়েছিলেন তিনি। তার উপর নিজের শৈশবের গ্রাম। সব মিলিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে হাই ভোল্টেজ এলাকা বীরভূম। যদিও বীরভূম নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে গণনায় দেখা যাচ্ছে উল্টো ফল। খোদ মুখ্যমন্ত্রীর মামাবাড়ির গ্রামেই জয় বিজেপির। এই ফলাফলে বেশ বড়সর ধাক্কা খেয়েছে ঘাসফুল শিবির।
কুসুম্বা গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ২১টি। যার মধ্যে কুসুম্বা গ্রামে রয়েছে ৩টি আসন। এই গ্রামই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামাবাড়ি। নানা ভাষণে বারবার উঠে এসেছে এই গ্রামের কথা। অথচ আশ্চর্যজনকভাবে এখানেই মুখ থুবড়ে পড়ল তৃণমূল শিবির। মোট ৩টি আসনের মধ্যে ২টি আসনেই জয়ী বিজেপি প্রার্থীরা। একটি আসনে জিতেছে তৃণমূল।