বিজেপি বিধায়কের কোনও ক্ষতি হয়নি বলেই স্থানীয় সূত্রে খবর। তবে গাড়িতে একাধিকবার পাথর ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
পঞ্চায়েত ভোটগণনার দিন বিক্ষিপ্ত হিংসার খবর জেলায় জেলায়। নির্বাচনের ফলাফলের দিন, হিংসা অব্যাহত বাঁকুড়া শালতোড়াতেও। ভেঙে ফেলা হয় বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরির গাড়ি। লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ভাঙচুর করা হয় গাড়ির কাঁচ। চন্দনা বাউরির অভিযোগ অতর্কিতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তার গাড়ি এবং তাদের কার্যকর্তাদের গাড়ির ওপর হামলা চালায়।
এদিকে, বিজেপি বিধায়কের কোনও ক্ষতি হয়নি বলেই স্থানীয় সূত্রে খবর। তবে গাড়িতে একাধিকবার পাথর ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে বাঁকুড়ায় গ্রাম পঞ্চায়েত আসন ৩১২৯ টি। সব আসনে হয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বিতা। এখানে ৯৮ টিতে তৃণমূল দিতেছে, এগিয়ে রয়েছে ৮৮ টিতে। ২৫ টিতে বিজেপি জিতেছে, এগিয়ে রয়েছে ৩১টিতে। সিপিআইএম ১২টিতে জিতেছে এগিয়ে রয়েছে ২১টিতে। কংগ্রেস ১ টিতে জিতেছে এগিয়ে রয়েছে ২ টিতে। বাঁকুড়ায় কয়েকশো যোজন এগিয়ে তৃণমূল, দ্বিতীয় হতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বাম-বিজেপির।
অন্যদিকে, পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাঁকুড়ার জেলা পরিষদের মোট আসনসংখ্যা ৫৬। তার মধ্যে ৩৭টি আসন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তৃণমূলের। বিজেপি পেতে পারে ৯ থেকে ১৫টি আসন। ০ থেকে ৩টি আসন যেতে পারে বাম-কংগ্রেস জোটের দখলে বলে মনে করা হচ্ছে।
মোট ভোটগণনা কেন্দ্র ৩৩৯। স্ট্রংরুমের সংখ্যা ৭৬৭। গণনাকক্ষের সংখ্যা ৩,৫৯৪। ৩০,৩৯৬টি টেবিলে চলবে গণনা। গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে ফল ঘোষণা করবেন কাউন্টিং অফিসার। পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের ক্ষেত্রে ঘোষণা করবেন বিডিও। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রত্যেক স্তরে ২ রাউন্ড করে গণনা হবে। কোথাও কোথাও গণনা হবে তিন রাউন্ড। শেষ না হওয়া পর্যন্ত গণনা চলবে। এদিন গণনা শেষ না হলে পরের দিনও তা চলবে।
সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১টার মধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোট গণনার কাজ শেষ হবে বলেই ধারণা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। গণনা শেষ হলে কেন্দ্র থেকে সবাই বেরিয়ে গেলে তারপরেই শুরু হবে পঞ্চায়েত সমিতির গণনার কাজ। তারপর একভাবেই জেলা পরিষদের গণনার কাজ শুরু হবে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা জানিয়েছেন, গণনা পুরো শেষ হতে ১২ জুলাই পেরিয়ে যেতে পারে।
এদিকে, শনিবার ভোটের দিন রাজ্য রক্ত প্রাণহানির হোলিখেলা দেখে। এ সময় বহু মানুষ নিহত হয় এবং বুথ দখলের ঘটনাও সামনে আসে। কোথাও কাউকে ব্যালট বাক্স নিয়ে পালিয়ে যেতে দেখা গেছে, কোথাও ব্যালট বাক্স পুড়ে গেছে আবার কোথাও ব্যালট বাক্স জলে ভাসতে দেখা গেছে। এমন নৈরাজ্যের মধ্যে, পুলিশ, প্রশাসন এবং রাজ্য সরকারের করা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠেছে।