‘কেন্দ্রের সমস্ত প্রকল্পের টাকা লুঠ করছে রাজ্য’, বলছে বাম-বিজেপি, ‘কেন্দ্রের টাকা দেওয়ারই ক্ষমতা নেই’, তোপ তৃণমূলের

‘কেন্দ্র সরকারের প্রোজেক্টগুলো নিয়ে রাজ্যে যা লুটপাট চলছে, কেন্দ্র সরকার কেন কোনও ভূমিকা নেয়নি?’ প্রশ্ন মহম্মদ সেলিমের। ‘রাজ্যের নেতারা সমস্ত কেন্দ্র সরকারের টাকা, গরীব মানুষের টাকা লুঠ করেছে,’ বলছেন দিলীপ ঘোষ। পালটা কী বলছে তৃণমূল?

Web Desk - ANB | Published : Jan 15, 2023 6:31 AM IST

‘প্রধানমন্ত্রী পোষণ শক্তি নির্মাণ’ স্কিমের বাস্তবায়ন সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে পশ্চিমবঙ্গে আসছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। চলতি মাসের ২০ তারিখেই একাধিক দলের বঙ্গে আগমনের পরিকল্পনা রয়েছে। তার মধ্যেই এই নিয়ে রাজ্যে শুরু হয়ে গেছে শাসক-বিরোধী রাজনৈতিক তরজা।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের পক্ষ থেকে পুষ্টি বিশেষজ্ঞ এবং উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা নিজে উপস্থিত হয়ে রাজ্যের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের স্কুলগুলিতে ‘প্রধানমন্ত্রী পোষণ শক্তি নির্মাণ’ স্কিমের সঠিক বাস্তবায়ন সম্পর্কে খোঁজ নেবেন, এরকম একটি বিজ্ঞপ্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে আগেই শাসকদল তৃণমূলের দিকে নিশানা করেছিলেন বিধানসভার প্রধান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বক্তব্য ছিল, এই প্রকল্পটিতে কেন্দ্রীয় অর্থ বরাদ্দ থাকলেও রাজ্য সরকার এটিকে প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। এবার সব প্রকাশ হয়ে পড়ার সময় এসেছে।

রাজ্যে কেন্দ্রীয় দলের পরিদর্শন করতে আসা সম্পর্কে মন্তব্য করে বাম নেতা মহম্মদ সেলিম বলেন, “কেন্দ্রে যে একটা সরকার আছে, সেটা বোঝা গেল। ২০১৪ থেকে মোদীর সরকার আছে, আর এখানে চুরি-জোচ্চুরি চলছে ২০১১ থেকে। তাহলে ঘরের টাকা, মজুরির টাকা, কালভার্টের টাকা, রাস্তার টাকা, রেশনের টাকা, আমফানের টাকা, বন্যাত্রাণের টাকা, কেন্দ্র সরকারের যেসমস্ত প্রোজেক্ট, সেইগুলো নিয়ে যা লুটপাট চলছে, কেন্দ্র সরকার কেন কোনও ভূমিকা নেয়নি?”

বিরোধী পক্ষ আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুললেও, পড়ুয়ারা যে সমস্যা বারবার হাতেনাতে টের পাচ্ছেন, তা হল খাবারের খারাপ মান এবং অপরিচ্ছন্নতা। একাধিক সময়ে মিড ডে মিলের খাবারে পাওয়া গেছে মৃত প্রাণীর দেহ, কখনও দেখা গেছে অতি খারাপ মানের চাল ডাল বা তরকারি। এ নিয়ে জেলায় জেলায় মানুষের মনে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। সেই তরজায় ইন্ধন দিয়েছে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, “কেন্দ্র সরকার যে যে প্রকল্পে যত টাকা পাঠিয়েছে, প্রত্যেকটির হিসেব নেওয়া উচিত, প্রত্যেকটির অনুসন্ধান হওয়া উচিত। রাজ্যের নেতাদের বড় বাড়ি, গাড়ি, গয়না, আলাদা আলাদা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হয়েছে, সমস্ত কেন্দ্র সরকারের টাকা, গরীব মানুষের টাকা এরা লুঠ করেছে। এগুলোর পাই পয়সা হিসেব নেওয়া উচিত আর জেলে ঢোকানো উচিত।”

অপরদিকে, কলকাতার মেয়র তথা শাসকদল তৃণমূলের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, “যে কেউ আসুক (কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল), কোনও অসুবিধা নেই। যাদের পায়ের তলায় মাটি নেই, সেই বিজেপি, তাদের পক্ষ থেকে ভুল অভিযোগ এখান থেকে যাচ্ছে। আর কেন্দ্রও তাতে নেচে বেরাচ্ছে। তাদের টাকা দেওয়ার ক্ষমতা নেই, শুধু ঘুষি মারা সর্দার হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

আরও পড়ুন-
বাংলার মানুষ বিজেপির ওপর ভরসা করছে বলেই ‘দিদির দূত’-দের ওপর বাড়ছে ক্ষোভ, মনে করছেন দিলীপ ঘোষ
২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু মাধ্যমিক পরীক্ষা, কারচুপি এড়াতে এবার বিশেষ কয়েকটি নিয়ম চালু করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ
প্য়াঙ্গোলিন পাচারে অভিযুক্ত তৃণমূল উপপ্রধান, বিরল প্রজাতির প্রাণী সহ হাতেনাতে গ্রেফতার এলাকার সুপরিচিত নেতা

Share this article
click me!