Dengue Fever: পশ্চিমবঙ্গে প্রবল আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গি! প্রশাসনের তরফে আরও বেশি সতর্কতা

জমা জলে জন্মাচ্ছে ডেঙ্গিবাহী মশা। গ্রামে গ্রামে চিকিৎসা পরিষেবার অভাবের কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে।

Sahely Sen | Published : Sep 25, 2023 2:16 AM IST / Updated: Sep 25 2023, 07:50 AM IST

গোটা বাংলা জুড়ে হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। মৃত্যুর সংখ্যাও ঊর্ধ্বমুখী। জেলায় জেলার বেশ কয়েকটি গ্রামাঞ্চলকে ডেঙ্গির ‘হটস্পট’ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। উত্তরবঙ্গেও ডেঙ্গির গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। মশাবাহিত রোগটি আটকাতে কড়া পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন। শহর এবং জেলায় জারি করা হচ্ছে নতুন সতর্কতা। যদিও বহু মানুষের অভিযোগ, প্রশাসনের গাফিলতির কারণেই ডেঙ্গির এই বাড়বাড়ন্ত ঘটছে।

শহরের হাসপাতালে ডেঙ্গি রোগীর ভিড়। জেলার হাসপাতালগুলিতে দেখা যাচ্ছে রোগীকে ‘রেফার’ করার প্রবণতা। জেলার বহু হাসপাতাল দায় না নিয়ে রোগীদের পাঠিয়ে দিচ্ছে শহরে। শহরে এসে ভর্তি হতে হতে বহু রোগী মারা যাচ্ছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। তাঁদের সঙ্গে অনলাইন মাধ্যমে যোগাযোগ করে পরামর্শ নিতে পারবেন জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা। জেলাতেই যাতে ডেঙ্গির চিকিৎসা করানো যায়, রোগীকে শহরে পাঠানোর প্রবণতা যাতে কমে, তা নিশ্চিত করতে চাইছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।

এই মরশুমে বঙ্গে দফায় দফায় বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে রাস্তায় জল জমে থাকছে। সেই জমা জলেই জন্ম নিচ্ছে ডেঙ্গিবাহী মশা। এর ফলে গ্রামেও ছড়াচ্ছে ডেঙ্গি। সেখানে চিকিৎসা পরিষেবার অভাবের কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে গ্রামে গ্রামে নজরদারি বাড়িয়েছে প্রশাসন। যদিও বাসিন্দাদের অভিযোগ, যতটা প্রয়োজন, আদৌ ততটা তৎপর নয় প্রশাসন। বাড়ি বাড়ি ঘুরে সতর্কতার কাজেও রয়েছে ঢিলেমি। সে কারণেই বাড়ছে ডেঙ্গি।

গ্রামাঞ্চলের পাশাপাশি শহর কলকাতাতেও ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ডেঙ্গি রুখতে এ বার কলকাতা পুরসভার সব স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি বেশি রাত পর্যন্ত খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সপ্তাহে তিন দিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত খোলা থাকবে পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্র। আর সপ্তাহে দু’দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খোলা রাখা হবে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি।

 

Share this article
click me!