প্রেমিকের সঙ্গে মিলে একসঙ্গেই নিজের স্বামীকে খুন করেছেন ওই গৃহবধূ, এমনই দাবি করেছে মৃতের পরিবার।
স্বামীর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না অনেকদিন থেকেই। সম্পর্ক ভাঙনের মূলে ছিল প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে পরকীয়া প্রেম। কিন্তু, সেই প্রেম টিকিয়ে রাখতে গিয়ে যে ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটিয়ে ফেললেন বসিরহাটের গৃহবধূ, সেই কাণ্ডের জেরে মর্মান্তিক পরিণতি হল তাঁর স্বামীর। ঘটনাটি ঘটেছে, বসিরহাট পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গোয়ালপাতা এলাকায়।
-
গোয়ালপাতায় নিজের পরিবারের সঙ্গে থাকতেন পরিতোষ অধিকারী। কয়েক বছর আগে রীতা নামের মহিলার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। কিন্তু, ধীরে ধীরে তাঁদের সম্পর্ক এগিয়ে যেতে থাকে ভাঙনের দিকে। পাড়ারই অন্য এক যুবক প্রবীর দাসের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন রীতা। এই প্রেমের কথা জানতে পেরে গিয়েছিলেন পরিতোষ অধিকারী। ফলে, স্ত্রীয়ের সঙ্গে তাঁর বিবাদ পৌঁছয় চরমে।
-
বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক রাখার জন্য স্ত্রীয়ের বিষয়ে এলাকার মধ্যে একটি সালিশি সভাও বসিয়েছিলেন পরিতোষ। কিন্তু, সালিশি সভার পরেও তাঁদের সম্পর্কের কোনও উন্নতি হয়নি। বরং, ধীরে ধীরে আরও ঘনিষ্ঠ হতে থাকেন প্রবীর এবং রীতা। বুধবার নিজের বাড়ি থেকে পরিতোষের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। তখনই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁর পরিবারের মানুষজন।
-
পরিবারের দাবি, নিজের প্রেমিকের সঙ্গে মিলে একসঙ্গে পরিতোষকে মারধর করেছেন রীতা অধিকারী। শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে পরিতোষকে। তারপর সেই খুন-কে ‘আত্মহত্যা’ বলে প্রমাণ করার জন্য মৃতদেহটি দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছেন রীতা এবং প্রবীর। পরিবার ও প্রতিবেশীদের অভিযোগের ভিত্তিতে রীতাকে গ্রেফতার করেছে স্থানীয় থানার পুলিশ। তবে, তাঁর প্রেমিক প্রবীর দাস এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
-
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।