সাধারণত, ৭, ৮, ৯ এবং ১০ পৌষ, এই চারদিন ধরে মেলা হয়ে থাকে, এবছরও সেইরকমই করানোর চিন্তাভাবনা রয়েছে। হাতে সময় খুব কম থাকায় কিছুটা দুশ্চিন্তার মেঘ থেকেই যাচ্ছে।
করোনা মহামারীর সময় রোগ ছড়িয়ে পড়া আটকাতে বন্ধ করানো হয়েছিল শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলা। কিন্তু, তারপর বিশ্ব ভারতীর বিখ্যাত পৌষ মেলা একেবারের জন্য বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এই সিদ্ধান্ত ঘিরে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ এবং দুঃখ পৌঁছেছিল চরমে, তারপর বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিদায় নিতেই আবার পৌষ মেলা হওয়ার অনুমতি দিয়ে দিয়েছেন নবাগত অস্থায়ী উপাচার্য সঞ্জয়কুমার মল্লিক।
-
বোলপুরে এবছর পূর্বপল্লির মাঠেই বসতে চলেছে শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা। ২৮ নভেম্বর, মঙ্গলবার বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয়কুমার মল্লিকের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেছে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। বৈঠকের পর সম্পাদক অনিল কোনার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যে, মেলা হওয়ার জন্য সময় খুব কম রয়েছে। পরিকাঠামোগত সমস্যা কাটিয়ে মেলা করানোর জন্য দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে।
-
পৌষমেলা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে আয়োজিত এক বিরাট মেলা। সেখানে কমপক্ষে ২ হাজারটি দোকান বসে। আশপাশের জলাশয় থেকে জলের জোগান দেওয়া হয়। স্টল বণ্টনের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে মেলার স্টল বণ্টন করা হত। মঙ্গলবারের বৈঠক থেকে বেরিয়ে ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল জানিয়েছেন, খড়্গপুর আইআইটি থেকে সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে স্টল বণ্টনের বিষয়টি করা হত। কিন্তু, এখন বিশ্বভারতীর সঙ্গে খড়্গপুর আইআইটির চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এর ফলে, আবার নতুন করে বিশ্ববিদ্যালয়কে চুক্তি করতে হবে। সাধারণত, ৭, ৮, ৯ এবং ১০ পৌষ, এই চারদিন ধরে মেলা হয়ে থাকে, এবছরও সেইরকমই করানোর চিন্তাভাবনা রয়েছে। তাই, হাতে সময় খুব কম থাকায় কিছুটা দুশ্চিন্তার মেঘ থেকেই যাচ্ছে।
-
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।