
Murshidabad News: এসআইআর আতঙ্কে ফের মুর্শিদাবাদে আত্মঘাতী ১ মহিলা। এবার এসআইআর আতঙ্কে এক মহিলা আত্মঘাতী হলেন মুর্শিদাবাদ জেলায়। রবিবার ভোরে বেলডাঙা থানার সুরুলিয়া এলাকায় মালগাড়ির সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হন শাকিলা বেওয়া ( ৫৫) নামে সুরুলিয়া-গেটপাড়া এলাকার এক বাসিন্দা।
গত ৪ নভেম্বর রাজ্য জুড়ে এসআইআর শুরুর পর এই নিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলায় মোট তিনজন ব্যক্তি আত্মঘাতী হলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ,সুরুলিয়া গেটপাড়া এলাকার বাসিন্দা শাকিলা বেওয়া নামে ওই মহিলা এসআইআর শুরুর পর থেকেই আতঙ্কে ছিলেন। ওই মহিলা নিজের পরিবারের সদস্যদেরকে বহুবার বলেছিলেন এসআইআর তালিকা তৈরি হয়ে যাওয়ার পর পুলিশ এসে তাকে ধরে নিয়ে যাবে।
মৃত শাকিলার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সোমবার ভোরে ছ'টা নাগাদ শাকিলা রেললাইনের উপর গিয়ে শুয়ে পড়েন। সেই সময় বহরমপুরের দিক থেকে বেলডাঙাগামী একটি মালগাড়ির ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। বহরমপুর জিআরপি থানা আধিকারিকেরা ইতিমধ্যে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছেন।
অন্যদিকে, নলহাটিতে শুটআউট। বাড়ির গেটে ঢোকার সময় মহিলাকে লক্ষ্য করে চার রাউন্ড গুলি চালালো দুস্কৃতীরা। আক্রান্ত মহিলা রামপুরহাট হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি। পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাত পৌনে ন’টা নাগাদ শুটআউটের ঘটনাটি ঘটে।
বিউটি পার্লার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন নলহাটি পশ্চিম বিধুপাড়ার বাসিন্দা সীমা খান। বাড়ির গেটে ঢোকার মুখে হঠাৎই দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ করে চারটি গুলি ছোঁড়ে। ঘটনায় তিনি গুরুতর জখম হন। স্থানীয় ও পুলিশ তড়িঘড়ি তাঁকে রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। সীমা খান আগে কয়েল পাড়ায় থাকতেন। ঘটনার খবর পেয়ে নলহাটি থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
বিষয়টি নিয়ে পরিবারের তরফে সীমার এক আত্মীয়া মনিরা খাতুন দাবি করে বলেন যে, "দীর্ঘদিন ধরে সীমা খানের স্বামীর সঙ্গে বিবাদ চলছিল।'' এবং এই ঘটনার সঙ্গে তাঁর স্বামী জড়িত থাকতে পারেন বলে তাঁর সন্দেহ। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি। রাতের শহরে এই গুলি চালানোর ঘটনায় নলহাটিতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুরো ঘটনার উদ্দেশ্য ও দোষীদের শনাক্তকরণের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।