লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বা কন্যাশ্রীর এক টাকাও পাবেন না! রাজ্য সরকারের কড়া নিয়মে মাথায় হাত সবার
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার হোক বা কন্যাশ্রী। এক টাকাও পাবেন না যদি এই নিয়ম মেনে না চলেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই নয়া সিদ্ধান্তে বেশ চিন্তায় গ্রাহকরা। জেনে নিন কী কী করতে হবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর একাধিক জনমুখী প্রকল্প চালু করেছিলেন। এরমধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। এছাড়াও রয়েছে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, ‘তরুণের স্বপ্ন’ -এর মতো একাধিক প্রকল্প রয়েছে।
প্রতি মাসে এই প্রকল্পগুলির জন্য একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পান গ্রাহকরা। তবে এবার রাজ্য সরকার নয়া নিয়ম করেছে।
‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের আওতায় একাদশ দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের পড়াশোনার সুবিধার জন্য ট্যাব দিয়ে থাকে রাজ্য সরকার। এবার এই সরকারি প্রকল্পে ট্যাব কেনার টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে ধরা পড়েছে এক বিরাট অনিয়ম।
তাই এই অনিয়ম রুখতেই আগামী বছর থেকে নতুন নিয়ম আনার পরিকল্পনা করছে রাজ্য সরকার। কার্যত দুর্নীতি রুখতে নতুন পরিকল্পনা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের।
পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ নজরে পড়তেই বিষয়টা নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। এই প্রকল্পে অনিয়ম রুখতে আধার নম্বরের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হতে পারে।
সরকারি সূত্রে খবর এদিনের বৈঠকের পর শিক্ষা দপ্তরকে এই আধার নম্বর সংযুক্তিকরণের বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের (West Bengal Government) একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির মধ্যে অত্যন্ত সুপারহিট লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প।
মহিলাদের আর্থিক অনুদান দেওয়ার ক্ষেত্রে এই প্রকল্পে আধার নম্বর ব্যবহার করা হয়ে থাকে। মাত্র এই কয়েক বছরে এখন এই লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের গ্রাহক সংখ্যা ২ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। তবুও এখনও পর্যন্ত ভুল অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার অভিযোগ ওঠেনি একটাও।
তাই এই ট্যাবের টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়ম রুখতে এই লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পটিকে মডেল হিসেবে নেওয়া যেতে পারে বলে দাবি করা হচ্ছে। রাজ্যে নারী শিশু ও সমাজ কল্যাণ দপ্তর এই লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পটি পরিচালনা করে।
তাই স্কুল শিক্ষা দপ্তরকে তাঁদের সাথে এই বিষয়ে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে এদিন শিক্ষা দপ্তরকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে আগামী বছর থেকে যেন এই ট্যাব কেনার টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে একটিও অনিয়ম না করা হয়।