
AI দিয়ে মহিলাদের ছবি বিকৃত করছিল দিনের পর দিন ধরে। জানাজানি হতেও ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয় মহিলারা। তারপরই স্থানীয়রাই অভিযুক্তকে জুতোপেটা করে। এখানেই শেষ নয়, অভিযুক্তদের পুলিশের হাতেও তুলে দেয় স্থানীয় মহিলারা। এই ঘটনা কোন্নগরের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। যদিও অভিযুক্ত এখনও পর্যন্ত নিদের পক্ষে কিছুই বলেনি।
কোন্নগর কানাইপুর বাসাই অটো স্ট্যান্ড এলাকায় মুদিখানা দোকান রয়েছে প্রান্ত রায় নামে ওই যুবকের। সেই দোকানেই জেরক্সও করা হয়। অভিযোগ যারা সেই দোকানে যেতেন তাদের ছবি রেখে দিতেন অভিযুক্ত।এরপর ওই ছবি দিয়ে আপত্তিকর ছবি বানানো হত। অভিযুক্তের একাধিক সমাজ মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট রয়েছে সেখান থেকে এই বিষয়টি জানতে পারেন ওই যুবকের এক সময়ের সহপাঠীরা। বিভিন্ন সমাজ মাধ্যমেও আপত্তিকর সেই ছবি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এবং আট থেকে আশি সবাই ছিল তার টার্গেট। আজ বিষয়টি জানাজানি হতেই একদল যুবতী অভিযুক্ত যুবককে জুতোপেটা করতে করতে স্থানীয় কানাইপুর পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যান।
এক যুবতী জানান,কয়েক বছর আগে প্রান্ত বাংলাদেশ থেকে এসেছে। সেই সময় থেকে আমরা স্কুলের বন্ধু ছিলাম। দার্জিলিং বেরিয়ে আমরা আজই বাড়ি ফিরেছি। আমার এক বান্ধবীর পিছনের ছবি তুলে ভিডিও বানিয়েছে। ওর সাতটা আটটা ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ ইনস্টাগ্রাম আইডি। বাচ্চা থেকে বয়স্ক মহিলাদের আপত্তিকর ছবি এআই দিয়ে বিকৃত করেছে। সেই ছবি কি করেছে এখনও জানিনা।
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য শম্পা চক্রবর্তী বলেন, এই ছেলেটার পরিচয় যা পাচ্ছি তাতে বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ আছে। প্রচুর মেয়ের ছবি তুলে এসব করেছে পুলিশ প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নিক। এলাকার মহিলার পুলিশ ফাঁড়িতে জরো হয় অভিযুক্তের শাস্তির দাবীতে। পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। অভিযুক্তের ট্যাব ল্যাপটপ থেকে অনেক আধার কার্ডের ছবি পাওয়া গেছে।পুলিশ সে সব উদ্ধার করেছে বলে জানা গেছে।