রায়গঞ্জে প্রেমিককে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি ধৃত প্রেমিকার। ধৃত সরস্বতী মিশ্র ঝাঁ নামে ওই গৃহবধূর দাবি, তার মেয়ের দিকেও কুনজর দিতে শুরু করেছিল মৃত গোপাল দাস। আরও অনেক মহিলার সঙ্গেই গোপাল আপত্তিকর সম্পর্ক রাখত বলেও অভিযোগ করেছে ধৃত প্রেমিকা। অনুতপ্ত না হয়ে তার স্বীকারোক্তি, 'সব মহিলাকে বলব, যে সমস্ত ছেলেরা মেয়েদের সম্মান দেবে না, কুনজরে দেখবে, তাঁরা যেন আমার মতো এরকম পদক্ষেপই করে। আমার যা ঠিক মনে হয়েছে, সেটাই করেছি।'
শনিবার সন্ধ্যায় রায়গঞ্জ শহরের উকিলপাড়ায় গোপাল দাস নামে এক যুবক খুন হয়। খুনের অভিযোগে সরস্বতী মিশ্র ঝাঁ নামে এলাকারই এক গৃহবধূকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের সঙ্গে গোপালের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তারা দু' জনেই বিবাহিত। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেই গোপালকে ডেকে নিয়ে গিয়ে একটি মাঠের মধ্যে গলার নলি কেটে খুন করে সরস্বতী।
আরও পড়ুন- পরকীয়া সম্পর্কে চিড়, রায়গঞ্জে প্রেমিককে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন প্রেমিকার
ধৃত গৃহবধূকে এ দিন রায়গঞ্জ আদালতে তোলা হয়। আদালত চত্বরেই সে অভিযোগ করে, তার মেয়ের দিকেও কুনজর দিতে শুরু করেছিল গোপাল। শুধু তাই নয়, সব মহিলাকেই তার প্রেমিক খারাপ দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখত বলেও অভিযোগ করে সরস্বতী। এ সমস্ত অসুর, দস্যুকে এভাবেই শেষ করে দেওয়া উচিত। আমার যেটা ঠিক মনে হয়েছে, সেটাই করেছি। শুধু আমার মেয়ে নয়, অন্যদের মেয়ে-বউয়ের সঙ্গেও এরকম করেছে। কোনও মহিলাকেই সে সম্মান দিত না। বয়স্ক মহিলা হোক বা একটা বাচ্চা মেয়ে, সবাইকেই ও খারাপ দৃষ্টিতে দেখত। তাই আমি ভাবলাম এই অসুরটাকে শেষ করে দেওয়া উচিত।'
সরস্বতীর দাবি, সে একাই গোপালকে খুন করেছে। ঘটনার আগে গোপাল তাকে গালিগালাজ করায় আরও রেগে যায় সে। তার পরেই গলার নলি কেটে প্রেমিককে সে হত্যা করে।