অভিযুক্ত কাঞ্চনা সরকারকে মারধর করে উত্তেজিত জনতা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বংশীহারী থানার আইসি মনোজিৎ সরকার। মৃতদেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এরপর অভিযুক্তকেও আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
মনুয়া কাণ্ডের ছায়া এবার দক্ষিণ দিনাজপুরে (South Dinajpur)। ত্রিকোণ প্রেমের (Love Affair) জেরে পিকনিকের আসরে স্বামীকে খুনের (Killed Husband) অভিযোগ মহিলার বিরুদ্ধে। মৃতের নাম অনুপ সরকার (৫০)। বংশীহারী থানার এলাহাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের সাধুহার গ্রামের ঘটনা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার সকালে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়।
অভিযুক্ত (Accused) কাঞ্চনা সরকারকে মারধর করে উত্তেজিত জনতা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বংশীহারী থানার (Banshihari Police Station) আইসি মনোজিৎ সরকার। মৃতদেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এরপর অভিযুক্তকেও আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বংশীহারী থানার পুলিশ।
সাধুহার গ্রামের বাসিন্দা অনুপ সরকারের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল কাঞ্চনার। এলাকায় তন্ত্রসাধনার কাজ করত কাঞ্চনা। এরই মাঝে কাঞ্চনার সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা ইমেল হাঁসদার সম্পর্ক তৈরি হয়। শুধুমাত্র ইমেল হাঁসদা নয় একাধিক পুরুষের সঙ্গেও বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে কাঞ্চনা জড়িয়ে পড়েছিল বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন- ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় 'গুলাব', প্রবল বর্ষণ দক্ষিণবঙ্গে, রেড অ্যালার্ট নবান্নের
এদিকে শুক্রবার রাতে অনুপ সরকারের বাড়িতে পিকনিকের একটি আসর বসেছিল। যেখানে অপু প্রামাণিক, স্বপন প্রামাণিক, ইমেল হাঁসদাও ছিলেন। সেখানেই তাঁদের সঙ্গে অনুপ সরকারের বচসা বাধে। অভিযোগ, সেই সময়ই অনুপকে খুন করে বাড়ির সামনে ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা। আর তাঁদের সঙ্গ দিয়েছিল কাঞ্চনা। আজ সকালে বিষয়টি নজরে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঞ্চনার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে গ্রামের মধ্যে একাধিকবার সালিশি সভা বসেছিল। বেশ কয়েকবার খুনের হুমকিও দেওয়া হয়েছিলেন অনুপ সরকারকে। অভিযোগ, বেশ কয়েকবার অনুপকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে ছিল কাঞ্চনা। তার জন্য তাঁকে বেশ কয়েকবার জেলও খাটতে হয়েছিল। কাঞ্চনার সম্পর্কগুলির মাঝে পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। পথ থেকে সরাতেই তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
কয়েকদিন আগে হাওড়াতে এই ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছিল। ঘরের মধ্যে স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিকের হাতে খুন হন যুবক। লিলুয়া ভট্টনগরের ঘটনা। যদিও অভিযুক্তদের খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে ২ মে প্রেমিক অজিতের সঙ্গে পরিকল্পনা করে পেশায় ট্রাভেল সংস্থার কর্মী স্বামী অনুপক সিংহকে খুন করেছিলেন স্ত্রী মনুয়া। ঠান্ডা মাথায় ছক কষে স্বামীকে খুন। ফোনের ওপার থেকে স্বামীর চিৎকার স্ত্রী মনুয়ার লাইভ শোনা, নৃশংশ হত্যাকাণ্ডের মধ্য়ে লুকিয়ে ছিল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শিউরে উঠেছিল সারা বাংলা। আর এবার সেই মনুয়া কাণ্ডের ছায়া পড়ল দক্ষিণ দিনাজপুরে।