এ বছর পৌষমেলা নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। মেলার মাঠ থেকে দোকান তোলাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় শান্তিনিকেতনে। এরইমধ্যে আবার খোদ বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল। উপাচার্য-সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন এক মহিলা। মুখে কুলুপ এঁটেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেলে স্বামীর সঙ্গে পৌষমেলায় গিয়েছিলেন ওই মহিলা। মেলা প্রাঙ্গন থেকে যখন বেরোচ্ছিলেন, তখন কয়েকজন তাঁর হাত ধরে টানাটানি করে বলে অভিযোগ। অভিযোগকারিনীর দাবি, তাঁর শাড়ি ও ব্লাউজ ছিঁড়ে দেয় অভিযুক্তেরা, এমনকী আঘাত করা হয় গোপনাঙ্গেও। শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন ওই মহিলা। এফআইআর-এ নাম রয়েছে খোদ বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী-এরও! এদিকে আবার এই ঘটনা নিয়ে সোচ্চার হয়েছে বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতিও। অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে সংগঠনের তরফে।
আরও পড়ুন: গাছে নিশানা লাগিয়ে পাচারের চেষ্টা, বাংলাদেশ সীমান্তে চোরা কারবারের পর্দাফাঁস
আরও পড়ুন: মামাবাড়ি থেকে ফেরার পথে কিশোরীকে ধর্ষণ, বাইকে করে বাড়ি পৌঁছে দিল অভিযুক্তরাই
উল্লেখ্য, এবার পৌষমেলায় নিয়মে কড়াকড়িতে সমস্যা পড়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। কনকনে ঠান্ডায় তেমন মুনাফাও করতে পারেননি তাঁরা। বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি-এর তরফে ভাঙা মেলার সময়সীমা আরও দু'দিন বাড়ানোর আবেদন জানানো হয়। কিন্তু সেই আবেদন পত্রপাঠ খারিজ করে দেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। রবিবার দুপুরে কর্মী ও বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে নিয়ে মেলার মাঠে যান উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, উপাচার্যের নির্দেশে বেশ কয়েকটি দোকান ভেঙে দেওয়া হয়। কয়েক লক্ষ টাকা সামগ্রীও বাজেয়াপ্ত করেন নিরাপত্তারক্ষীরা। আর সেই ঘটনার সময়ে মেলার মাঠে মহিলার শ্লীলতাহানি করা হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের।