প্রসবের পরই সদ্যোজাত সন্তানকে খুন মায়ের, চাঞ্চল্য হুগলিতে

  • অভাবের তাড়নায় সদ্যোজাত সন্তানকে খুন
  • প্রসবের পরেই শিশুকে মেরে ফেলল মা
  • ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হুগলিতে
  • অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

Tanumoy Ghoshal | Published : Nov 26, 2019 2:38 PM IST / Updated: Nov 26 2019, 08:11 PM IST

সংসারে যতই অভাব থাকুন না কেন, কোনও মহিলা কী কখনও নিজের সদ্যোজাতকে সন্তানকে মেরে ফেলতে পারে! বাস্তবে এমনই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে হুগলির পাণডুয়ায়।  অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি,  ওই মহিলা নাকি জেরায় জানিয়েছে, বছর খানেক আগেও একবার প্রসবের পর সদ্যোজাত কন্যাসন্তানকে মেরে ফেলেছিল সে! কিন্তু তখন কেউ টের পায়নি।  অভিযুক্তের স্বামী পলাতক।

পাণডুয়ার চাঁপাহাটি কলোনিতে বাড়ি অর্চনা মণ্ডলের।  তার স্বামী পেশায় দিনমজুর। অভাবে সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর দশা। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, অর্চনা গর্ভবতী ছিলেন। কিন্তু আর্থিক সমস্যার কারণে প্রসবের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হতে পারেনি।  সোমবার বাড়িতেই এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেয় ওই গৃহবধূ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রসবের পরেই সদ্যোজাত সন্তানকে শ্বাসরোধ করে খুন করে অর্চনা এবং মৃতদেহটি বাড়ির কাছেই একটি ঝোপে ফেলে দিয়ে আসে। ঘটনাটি নজরে পড়ে যায় স্থানীয় বাসিন্দাদের। চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর দেওয়া হয় থানায়।

মঙ্গলবার সকালে অর্চনা মণ্ডলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় অপরাধ স্বীকার করেছে ওই গৃহবধু। জেরায় সে  জানিয়েছে, তার তিনটি কন্য়াসন্তান রয়েছে। অভাবের সংসারে আরও একটি সন্তানকে মানুষ করার মতো আর্থিক সামর্থ্য নেই। তাই প্রসবের পর সদ্যোজাতকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে সে। 

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, যে ঝোপ থেকে অর্চনার সদ্যোজাত সন্তানকে পাওয়া গিয়েছে,  বছর খানেক আগে সেই ঝোপেই আরও একটি সদ্যোজাত দেহ পাওয়া গিয়েছিল। সেই ঘটনার এখনও কিনারা হয়নি। তাহলে সেই শিশুটিও কি অর্চনারই ছিল? পুলিশের দাবি  তেমনই।  তদন্তকারীদের বক্তব্য, জেরায় অর্চনা জানিয়েছে, বছর খানেক আগেও সন্তানের জন্ম দিয়েছিল সে। সেবারও সদ্যোজাতটির একই পরিণতি হয়েছিল। কিন্তু ঘটনাটি কেউ টের পায়নি।   স্ত্রীর এমন নৃশংস কাজে কী প্রতিক্রিয়া অর্চনার মণ্ডলের স্বামীর? ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। তাঁর সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে অর্চনার স্বামীও জড়িত কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  

Share this article
click me!