আমফান ত্রাণের ত্রিপল দেওয়ার নামে গৃহবধূকে 'ধর্ষণ', অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

  • আমফানের ত্রাণ নিয়ে 'দুর্নীতি'তে নয়া মাত্রা
  • ত্রিপল চাইতে গিয়ে এবার 'ধর্ষিতা' গৃহবধূ
  • তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর
  • হুগলির সিঙ্গুরের ঘটনা

Asianet News Bangla | Published : Jul 6, 2020 4:13 PM IST

ঘুর্ণিঝড় আমফানে ঘরের ছাউনি উড়ে দিয়েছে। ত্রিপল চাইতে গিয়ে শেষকিনা ধর্ষিতা হলেন এক গৃহবধৃ! স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির মহিলা মোর্চা সভানেত্রী অগ্নিমিত্র পালও। ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে হুগলির সিঙ্গুরে।

আরও পড়ুন: ৬ বছর বেহাল রাস্তা, নজরে আনতে অভিনব প্রতিবাদ বিজেপির

জুন মাসের প্রথম দিকের ঘটনা। সিঙ্গুরের দিয়ারা এলাকায় থাকেন নির্যাতিতা ওই গহবধূ। তাঁর স্বামী সামান্য দিনমজুরের কাজ করেন। একটি চালাঘরে দুই সন্তানকে নিয়ে থাকতেন স্বামী ও স্ত্রী। নির্যাতিতা পুলিশকে জানিয়েছেন, ঘুর্ণিঝড়ে ঘরের চালা উড়ে যায়। ত্রিপলের জন্য স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের দ্বারস্থ হন তিনি। এরপর ত্রিপল পাইয়ে দেওয়ার অজুহাতে অভিযুক্ত রমেশ কোলে নির্যাতিতার বাড়িতে যাতায়াত শুরু করে বলে অভিযোগ।

নির্যাতিতার দাবি, একদিন দুপুরে স্বামী যখন ব্লক অফিসে ত্রিপল আনতে গিয়েছিলেন, তখন ঘুরে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করেছে রমেশ।  শুধু তাই নয়, পুলিশে অভিযোগে জানালে প্রাণনাশের হুমকিও দেয় সে। ফলে ভয় আর থানায় যাননি নির্যাতিতা। তাহলে এতদিন পরে এফআইআর করলেন কেন? অভিযোগকারীর বক্তব্য, ইদানিং পাড়ায় তাঁর নামে কুৎসা রটাচ্ছিল অভিযুক্ত। এরপরই পুলিশের অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত নেন এবং স্বামীকে সঙ্গে সোমবার সকালে চলেন সিঙ্গুরে বিজেপির অফিসে। ঘটনাটি জানাজানি হতে শোরগোল পড়ে যায়। কলকাতা থেকে সিঙ্গুরে চলে আসেন বিজেপি মহিলার মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্র পাল। তিনিই নির্যাতিতাকে সঙ্গে করে নিয়ে যান সিঙ্গুর থানায়।  অভিযুক্তকে গ্রেফতারে দাবিতে থানায় পথ অবরোধও চলে কিছুক্ষণ।

আরও পড়ুন: বিয়ের আসরে 'মাস্ক বিপ্লব', অভিনব উদ্যোগ তাক লাগালেন রায়গঞ্জের ব্যবসায়ীরা

হুগলির পুলিশ সুপার(গ্রামীণ) তথাগত বসু জানিয়েছেন, মেডিক্যাল টেস্টের জন্য নির্যাতিতাকে চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত রমেশ কোলে পলাতক। আর তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাপতি দিলীপ যাদবের বক্তব্য, 'ঘটনার কথা শুনেছি। তবে রমেশ কোলে বলে কোনও তৃণমূল নেতা আছেন বলে অন্তত আমার জানা নেই। তদন্ত করে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।'

Share this article
click me!