স্ত্রীকে খুন করে আত্মহত্যা, হাসপাতালের মধ্যেই রিকশ থেকে পুকুরে ঝাঁপ যুবকের

  • বেলঘড়িয়ার কামারহাটির ঘটনা
  • প্রথমে স্ত্রীকে খুনের চেষ্টা যুবকের
  • হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে পুকুরে ঝাঁপ দেন যুবক
  • হামলার জেরে মৃত্য়ু হয় স্ত্রীর
  • উদ্ধার হয় যুবকের দেহ

debamoy ghosh | Published : Aug 13, 2019 3:53 AM IST

স্ত্রীর উপরে প্রাণঘাতী হামলা চালিয়ে নিজের হাতের শিরা কেটে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা। শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে রিকশ থেকে পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন এক যুবক। পরে হাসপাতালে মৃত্য়ু হয় তাঁর স্ত্রীরও। গোটা ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় উত্তর চব্বিশ পরগণার বেলঘড়িয়ার কামারহাটিতে। 

মৃত ওই যুবকের নাম শেখ সাজিদ হোসেন। তাঁর স্ত্রীর নাম রেহেনা পরভিন খাতুন। বকরি ইদের দিনে এই ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার দুপুরের পর সাজিদ- রেহেনার দু' বছরের ছেলের কান্নার আওয়াজ পেয়ে তাঁদের ফ্ল্যাটের দরজা খোলার চেষ্টা করেন সাজিদের মা। দরজা ভিতর থেকে বন্ধ থাকায় তিনিই প্রতিবেশীদের খবর দেন। 

দরজা ভেঙে দেখা যায়, ঘরের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন রেহেনা। তাঁর গলার নলি কাটা ছিল। অন্যদিকে হাতের শিরা কাটা অবস্থায় পড়েছিলেন সাজিদ। 

রেহেনাকে উদ্ধার করে স্থানীয়রাই সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। অন্যদিকে সাজিদকে একটি রিকশ করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ই আচমকা রিকশ থেকে হাসপাতালের মধ্য়ে থাকা একটি পুকুরে ঝাঁপ দেন সাজিদ। 

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বেলঘড়িয়া থানার পুলিশ। সাজিদের খোঁজে ডুবুরিও নামানো হয়। কিছুক্ষণ পরে সাজিদের দেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন তৃণমূল নেতা মদন মিত্র। 

স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর তিনেক আগে পেশায় বাস চালক সাজিদের সঙ্গে বিয়ে হয় কাশীপুরের বাসিন্দা রেহেনার। গত কয়েক মাস ধরেই ওই যুবক মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তার জেরেই স্ত্রীর উপর হামলা চালিয়ে ওই যুবক আত্মঘাতী হন হলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। 

Share this article
click me!