সংক্ষিপ্ত

 করাও কার্যত কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। ব্যস্ত সময়েও নাস্তানাবুদ হওয়ার পুরনো অভিশাপকে রুখতেই নির্বাচন কমিশন এনেছে নতুন অ্যাপ সিভিজিল।
 

সমস্যা মোকাবিলা করতে নাস্তানাবুদ নির্বাচন কমিশন  অবশেষে হালে পানি পেল। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গেলে নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের ঘটনা আকছার ঘটে। কিন্তু বেশির ভাগ পেতেই অভিযোগ পেতে এত দেরি হয়ে যায় যে দোষীরা পালাবার সহজ সুযোগ পেয়ে যায়। আশি ভাগ ক্ষেত্রেই তথ্যে অসঙ্গতির জন্যে বিধি অনুসারে অপরাধীকে পরে পাকড়াও করাও কার্যত কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। ব্যস্ত সময়েও নাস্তানাবুদ হওয়ার পুরনো অভিশাপকে রুখতেই নির্বাচন কমিশন এনেছে নতুন অ্যাপ সিভিজিল।

সি ভিজিল কী?

সিভিজিল এককথায় একটি মোবাইল অ্যাপ। নির্বাচন বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ও কমিশনের পদক্ষেপের মধ্যে ভারসাম্য আনার লক্ষ্যেই তৈরি করা হয়েছে এই অ্যাপ।  সমস্ত সচেতন নাগরিক সহজেই সিভিজিল ব্যবহার করে সুস্থ স্বচ্ছ ভোটের স্বার্থে অভিযোগ দাখিল করতে পারবে।

সিভিজিলে বিস্তারিত লিখিত অভিযোগ জানানোর কোনও দরকার নেই। এই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপে লাইভ ফোটো ও ভিডিও আপলোড করে নির্বাচন কমিশনে পৌঁছে দেওয়া যাবে। ভিডিও বা ছবিতে অটো লোকোশান ট্যাকার থাকায় জায়গার যাবতীয় তথ্য পেয়ে যাবে কমিশনের ভারপ্রাপ্ত অফিসাররা। সুবিধে হবে অ্যাকশান নেওয়ার ক্ষেত্রে।

সিভিজিলের কার্যকারিতা

আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনে এই অ্যাপ্লিকেশনটি নামিয়ে নিন। আপনার মোবাইলে জিপিএস অ্যাকসেস থাকা চাই। কোনও বেগতিক বুঝলেই ছবি বা ভিডিও তুলে আপলোড করে দিন। কমিশনের অফিসারের কাছে ছোটার দরকার নেই। সংশ্লিষ্ট জেলার ভারপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার ও ফিল্ড ইউনিটের কাছে পৌঁছে যাবে এই তথ্য। অবস্থা বুঝে তৎক্ষণাত ব্যবস্থা নেবেন তাঁরা।
নিয়মানুসারে ভিডিওটি ন্যুনতম ২ মিনিটের হওয়া চাই। সঙ্গে জুড়ে দিতে হবে দু'কথায় অভিযোগ।

সিভিজিল ব্যবহারের নিয়ম

১ আপনার তোলা ছবিটি বা দু'মিনিটের ভিডিওটি এই অ্যাপে আপলোড করুন। আপলোড হলে আপনি একটি ইউনিক আইডি পাবেন যা দিয়ে আপনি ঘটনার গতিবিধি জানতে পারবেন। আপনি না চাইলে আপনার নাম ফোন নম্বরও গোপন রাখতে পারেন। 

২ নাগরিকের থেকে রিপোর্ট পাওয়া মাত্রই জেলা কন্ট্রোল রুম থেক শুরু হবে অপারেশন। ফিল্ড ইউনিটের কাছে রয়েছে সিভিল ইনভেস্টিগেটর অ্যাপটি যা দিয়ে তাঁরা অভিযোগের ঠিকানা ট্র্যাক করতে পারবে ২৪ ঘণ্টা।

৩ অভিযোগ প্রমাণিত হলে ন্যাশানাল গ্রেভিয়েন্স পোর্টালে তথ্য চালান করবে নির্বাচন কমিশন। ১০০ মিনিটের মধ্যে সমস্ত তথ্য পাবেন নিজের মোবাইল অ্যাপেই।

প্রসঙ্গত কোনও পূর্বতন রেকর্ড এই ক্ষেত্রে আপলোড করা যাবে না। অভিযোগ মিথ্যে মনে করলে ব্যবস্থা নেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারে কমিশনের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।