সংক্ষিপ্ত

মণিপুরে বিধানসভায় রয়েছে মোট ৬০টি আসন। ২৮ ফেব্রুয়ারি এবং ৫ মার্চ এখানে দুই দফায় ভোটগ্রহণ হয়েছে। এখানে মূল লড়াইটা অবশ্যই কংগ্রেস জোট এবং বিজেপি জোটের মধ্যে। ভোটের আগে জনমত সমীক্ষা থেকে শুরু করে ভোটগ্রহণের পর বুথ ফেরত সমীক্ষা-সবেতেই বিজেপি জোট-কে এগিয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। সত্যি সত্যি গণনায় কি বিজেপি-র ভাগ্যেই শিকে ছিঁড়বে তা পরিস্কার হয়ে যাবে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে। 

মণিপুর বিধানসভা নির্বাচনে এবার মূল লড়াই মূলত বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট এবং কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন মণিপুর প্রোগ্রেসিভ সেকুলার জোটের মধ্যে। বিজেপি-র এনডিএ জোটের মধ্যে সেভাবে কোনও রাজনৈতিক দল নেই। কিন্তু তাও বিজেপি এনডিএ জোটে বলেই মণিপুরে ভোটে অবতীর্ণ হয়েছে। উল্টোদিকে মণিপুর প্রোগ্রেসিভ সেকুবার জোটের মধ্যে কংগ্রেস ছাড়াও রয়েছে সিপিআই। মণিপুরের বিজেপি-র মুখ বীরেন সিং। অন্যদিকে কংগ্রেস জোটের মুখ ওকরাম ইবোবি সিং। কংগ্রস ৫৩টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে, সিপিআই দিয়েছে ২টি আসনে। অন্যদিকে বিজেপি ৬০টি আসনেই ভোট দিয়েছে। এই রাজনৈতিক দলগুলির বাইরেও ভোটযুদ্ধে সামিল হয়েছে নাগা পিপলস ফ্রন্ট। এরা ৯টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি। এরা ৩৯টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। এদের বাইরেও আরও কিছু রাজনৈতিক দল রয়েছে যারা মণিপুর নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছে। যেমন সংযুক্ত জনতা দল। এরা ৩৮টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। শরদ পাওয়ারের এনসিপি ৮টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। শিবসেনা প্রার্থী দিয়েছে ৯টি আসনে। রামদাস অটওয়ালের রিপাবলিকান পার্টি অফ ইন্ডিয়া প্রার্থী দিয়েছে ৯টি আসনে। 

মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং ১৮ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতেছেন, সন্ধ্যা ৬:৫৯ মিনিট 

বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা এন বীরেন সিং। তিনি হাঙ্গাং আসনে ১৮ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন। এই আসনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন কংগ্রেসের পিএস সিং। 

মণিপুরে সবার থেকে এগিয়ে বিজেপি, বেলা ১১ঃ১৪ মিনিট

মণিপুরে সবার থেকে এগিয়ে বিজেপি। কংগ্রেস এখনও দুই অঙ্কে পৌছতে পারেনি।

মণিপুরেও ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে বিজেপি, সকাল ৯ঃ৫২ মিনিট

মণিপুরেও ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। এদিন সকাল আটটা থেকে ভোট গণনা শুরু হতেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বিজেপি-কংগ্রেসের। ইতিমধ্যেই ২০ আসনে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। ১৫ আসনে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। 

২০১৭ সালের ভারতীয় জনতা পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, নাগা পিপলস ফ্রন্ট এবং লোকজনশক্তি পার্টি মণিপুরে সরকার তৈরি করেছিল। মোট ৬০টি আসনের মধ্যে এই জোটের দখলে ছিল ৬০টি আসন। বিজেপি-র দখলে ছিল ২১টি আসন। ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-র ঝুলিতে ছিল ৪টি আসন। নাগা পিপলস ফ্রন্টের দখলেও ছিল ৪টি আসন। লোকজনশক্তি পার্টি-র ঝুলিতে ছিল ১টি আসন। এই সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বীরেন সিং। কংগ্রেসের ঝুলিতে সেবার ছিল ২৮টি আসন। কিন্তু, সরকার গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যা না থাকায় মণিপুরে বৃহত্তম দল হয়েও বিরোধী আসনে বসতে হয়েছিল কংগ্রেসকে। ২০১৭ নির্বাচনে আর একটি মজার তথ্য হল তৃণমূল কংগ্রেস এখানে একটি আসন জিতেছিল। কিন্তু, ২০২২-এর নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস এখানে কোনও প্রার্থী দেয়নি। 

৮ মার্চ ৫ রাজ্যের ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর যে বুথ ফেরত সমীক্ষা সামনে এসেছে তাতে দেখা গিয়েছে প্রতিটিতেই মণিপুরে বিজেপি-কেই সম্ভাব্য জয়ী দল হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসাবে দেখানো হয়েছে কংগ্রেসকে। একনজরে ইন্ডিয়া টুডে-অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়া-র বুথ ফেরত সমীক্ষা দেখিয়েছে মণিপুরে বিজেপি সম্ভাব্য ৩৩ থেকে ৪৩টি আসন পেতে চলেছে। কংগ্রেসের দখলে থাকতে পারে মাত্র ৪ থেক ৮টি আসন। ন্যাশনাল পিপলস পার্টির দখলে নাকি থাকতে পারে ৪ থেকে ৮টি আসন। নাগা পিপলস ফ্রন্টের দখলে থাকতে পারে ৪ থেকে ৭টি আসন। অন্যান্যদের ঝুলিতে থাকতে পারে শূন্য থেকে ৭টি আসন। ইন্ডিয়া টুডে-র বুথ ফেরত সমীক্ষায় পরিস্কার দেখা যাচ্ছে যে বিজেপি সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়ে মণিপুরে সরকার গড়ার দিকে সম্ভাব্যভাবে এগিয়ে রয়েছে। কিন্তু, ইন্ডিয়া টিভি- সিএনএক্স, এবিপি নিউজ-সি ভোটার এবং রিপাবলিক- পি-মার্ক-এর বুথ ফেরত সমীক্ষায় দেখানো হয়েছে যে সম্বভত মণিপুরে ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হতে চলেছে। ইন্ডিয়া টিভি-সিএনএক্স-এর বুথ ফেরত সমীক্ষায় দেখানো হয়েছে বিজেপি ২৬ থেকে ৩১টি আসন পেতে পারে। কংগ্রেস পেতে পারে ৬ থেকে ১০টি আসন। ন্যাশনাল পিপলস পার্টি পেতে পারে ৬ থেকে ১০টি আসন। নাগা পিপলস ফ্রন্ট পেতে পারে ২ থেকে ৬টি আসন। আর অন্যান্যরা পেতে পারে ৩ থেকে ৬টি আসন। এবিপি নিউজ-সি ভোটার-এর বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে বিজেপি পেতে পারে ২৩ থেকে ২৭টি আসন। কংগ্রেসের দখলে যেতে পারে ১২ থেকে ১৬টি আসন। এনপিপি বা ন্যাশনাল পিপলস পার্টি পেতে পারে ১০ থেকে ১৪টি আসন। নাগা পিপলস ফ্রন্ট পেতে পারে ৩ থেকে ৭টি আসন। অন্যান্যরা পেতে পারে ২ থেকে ৬টি আসন। রিপাবলিক পি-মার্ক-এর বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে বিজেপি-র ঝুলিতে যেতে পারে ২৭ থেকে ৩১টি আসন। কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে ১১ থেকে ১৭টি আসন। এনপিপি-র দখলে যেতে পারে ৬ থেকে ১০টি আসন। অন্যান্যরা পেতে পারে ৫ থেকে ১৩টি আসন। 
আরও পড়ুন-
 UP Elections Counting Live:আর কিছুক্ষণ পরেই উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের গণনা, ফল জানতে ক্লিক করুন
 Punjab Elections Counting Live:আর কিছুক্ষণ পরেই পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনের গণনা, ফল জানতে ক্লিক করুন
Goa Elections Counting Live:আর কিছুক্ষণ পরেই গোয়া বিধানসভা নির্বাচনের গণনা, ফল জানতে ক্লিক করুন 
Uttarakhand Elections Counting Live:আর কিছুক্ষণ পরেই উত্তরাখণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের গণনা, ফল জানতে ক্লিক করুন