সংক্ষিপ্ত

  • ত্রিশ চতুর্থ তীর্থংকর যিনি জৈনধর্মকে পুনরুজ্জীবিত করেছিলেন
  • আধ্যাত্মিক জাগরণ ও সাধনার জন্য গৃহ ত্যাগ করেন
  • ১২ বছর ধরে ধ্যান ও গুরুতর কঠোর অনুশীলন করেছিলেন
  • সারা বিশ্বে জৈন ধর্মের  আজ এক গুরুত্বপূর্ণ দিন

ত্রিশ চতুর্থ তীর্থংকর যিনি জৈনধর্মকে পুনরুজ্জীবিত করেছিলেন। দূরবর্তী প্রাক-বৈদিক যুগের পূর্ববর্তী তীর্থঙ্কারগুলির আধ্যাত্মিক, দার্শনিক ও নৈতিক শিক্ষাগুলি তিনি ব্যাখ্যা করেছিলেন। তিনি ৩০ বছর বয়সে সমস্ত বিশ্বস্ত সম্পদ পরিত্যাগ করেছিলেন এবং আধ্যাত্মিক জাগরণ ও সাধনার জন্য গৃহ ত্যাগ করেন। মহাবীর ১২ বছর ধরে ধ্যান ও গুরুতর কঠোর অনুশীলন করেছিলেন, তারপরে তিনি বিশ্বাস করেছিলেন যে কেভালা জ্ঞান সর্বজ্ঞতা অর্জন করেছিলেন। তিনি ৩০ বছর ধরে প্রচার করেছিলেন এবং খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মোক্ষ অর্জনের জন্য জৈনরা বিশ্বাস করেছিলেন, যদিও বছরটি সংবিধান দ্বারা পরিবর্তিত হয়। কার্ল পটারের মতো লেখক তার জীবনী অনিশ্চিত মনে করেন। আবার অনেকেই মনে করেন যে তিনি বুদ্ধের সমসাময়িক। মহাভিরা ৭২ বছর বয়সে নির্বাহ লাভ করেন এবং তার দেহের সমাহিত করা হয়।

আরও পড়ুন- আপনার হাতের রেখায় কি চতুর্ভুজ চিহ্ন রয়েছে, জেনে নিন জীবনে এর প্রভাব

সোমবার, ২ এপ্রিল মহাবীর স্বামীর জন্মবার্ষিকী। সারা বিশ্বের জৈন ধর্মের  আজ এক গুরুত্বপূর্ণ দিন। জৈন ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা মহাবীর স্বামী অহিংসা পরম ধর্ম মন্ত্রে উদ্ভুদ্ধ করেছিলেন সারা বিশ্বকে। মহাবীর স্বামীর জীবনে এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে, যা সুখ ও শান্তির উৎস হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। যেমন, মহাবীর স্বামী একদিন একটি বনে তপস্যা করছিলেন। কিছু রাখাল তাদের গরু এবং ছাগলকে চড়ানোর জন্য ওই বনে এসেছিল। রাখালদের তপস্যা সম্পর্কে কোনও ধারণা ছিল না। রাখালরা মহাভীর স্বামীকে ধ্যানস্থ দেখে তাঁকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করতে লাগল, কিন্তু স্বামীজী তাঁর ধ্যানে মগ্ন ছিলেন, রাখালদের কথাবার্তায় তিনি বিচলিত হননি।

আরও পড়ুন- এপ্রিল মাস কেমন প্রভাব ফেলবে বৃষ রাশির উপর, দেখে নিন

কোনও সময়েই এই জিনিসটি আশেপাশের গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। তবে গ্রামের কিছু মানুষ মহাবীর স্বামীকে জানতেন। তারা সকলেই সঙ্গে সঙ্গে বনের সেই জায়গায় পৌঁছয়। যখন লোকের ভিড় জমে তখন মহাবীর চোখ খুললেন। রাখালদের করা ভুলের জন্য গ্রামের পণ্ডিতরা ক্ষমা চাইতে শুরু করলেন। লোকেরা স্বামীজির জন্য ঘর তৈরির কথা বলত। যাতে কেউ তাঁর তপস্যায় কোনও ব্যাঘাত না ঘটে। ভগবান মহাবীর শান্তিতে সকলের কথা শুনে বলেছিলেন, ''রাখালরা আমার সন্তান। ছোট বাচ্চারা তাদের পিতামাতাকে ঠাট্টা করে, প্রয়োজনে হত্যা করে। তবে পিতা-মাতারা কী এই কারণে শিশুদের ত্যাগ করে। আমি রাখালদের উপর রাগ করি নি আর আমার জন্য জায়গা তৈরির দরকার নেই। দরিদ্রের কল্যাণে এই অর্থ ব্যয় করুন।''