সংক্ষিপ্ত
- হিন্দু ধর্মে একাদশী উপবাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে
- প্রতি বছর চব্বিশটি একাদশী তিথি থাকে
- আষাঢ় মাসের একাদশী তিথিকে যোগিনী একাদশী বলা হয়
- এই একাদশীর উপবাসের কথা পদ্মপুরাণে উল্লেখ রয়েছে
হিন্দু ধর্মে একাদশী উপবাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে। প্রতি বছর চব্বিশটি একাদশী তিথি থাকে। তার মধ্যে , আষাঢ় মাসের একাদশী তিথিকে কৃষ্ণ একাদশী "যোগিনী" বা "শায়ানী" একাদশী বলা হয়। এবার, ১৭ জুন বুধবার এই তারিখটি পড়ছে। এই ব্রত দ্বারা সমস্ত পাপ বিনষ্ট হয়। এই ব্রত পালন করলে ভোগ ও পরকালে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। যোগিনী একাদশী উপবাসের কথা পদ্মপুরাণের উত্তরাখণ্ডে পাওয়া যায়।
এই একাদশীতে দানশীলতার গুরুত্বও উল্লেখ করা হয়েছে। শাস্ত্র মতে, দান সর্বদা পুণ্যবান। শাস্ত্র অনুসারে যে কোনও ধরণের দান করার সময় তাঁর দক্ষিণা দেওয়া উচিত। সুতরাং, এই ব্রত পালন করলে ইহলোক এবং পরলোকের পাপ মুক্তি ঘটে।
উপবাস ও পুজো বিধি
১) যোগিনী একাদশীর উপবাস দশমীর রাত থেকে শুরু হয়।
২) দশমীর রাতে উপবাসের শুরু ফলে ব্রহ্মচর্য পালন করা উচিত। সম্ভব হলে মাটিতে ঘুমনো উচিৎ।
৩) খুব সকালে উঠে স্নান সারার পর শুদ্ধ মনে ব্রত পালন শুরু করুন।
৪) ঘট প্রতিষ্ঠা করুন এবং এতে ভগবান বিষ্ণুর পুজো করুন।
৫) প্রয়োজনে নারায়ণের প্রতিমা অর্পণ করে তাতে ফুল, ধূপ, প্রদীপ ইত্যাদি দিয়ে আরতি করুন।
৬) যোগিনী একাদশীর ব্রত কথা দিনের বেলা শুনতে হবে।
৭) ঘরে নারায়ণের মূর্তি না থাকায় অনেকে বট গাছেও পুজো করেন।
৮) রাতে জাগরণও পালন করা উচিত। এইভাবে এই ব্রত পালনের ফলে আপনার জীবনের বিভ্রান্তি দূর হবে এবং সাত্ত্বিক জীবন যাপন করতে সক্ষম হবেন।