সংক্ষিপ্ত
জ্যোতিষমেত আষাঢ় মাসে এমন কয়েকটি আচার পালন করার কথা বলা হয় যা করলে সৌভৈগ্য ফিরে আসে। খারাপ সময় কেটে যায় বলেও মনে করা হয়।
হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এটি চতুর্থ মাস। জুন মাসের ১৫ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে আষাঢ় মাস। শেষ হবে ১৩ জুলাই। হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী এই মাসটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই মাসে ভগবান বিষ্ণ ও শিবের পুজো করতে সুফল পাওয়া যায়। অন্যদিকে জ্যোতিষমেত আষাঢ় মাসে এমন কয়েকটি আচার পালন করার কথা বলা হয় যা করলে সৌভৈগ্য ফিরে আসে। খারাপ সময় কেটে যায় বলেও মনে করা হয়। উপায়গুলি হল-
স্নান- আষাঢ়় মাস পূন্যস্নানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই মাসের প্রত্যেক ব্যক্তির স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া জরুরি। এই মাস জলভর্তি ফল যেমন আম, নারকেল, লেবু খাওয়া জরুরি। মাসে একটা দিন কোনও গঙ্গা বা গঙ্গার মত পবিত্র কোনও নদীতে স্নান করলে মনের ইচ্ছে পুরণ হয়।
পূজা
জ্যোতিষ অনুযায়ী আষাঢ় মাসে ভগবান বিষ্ণ ও শিবের পুজো করলে বিপদ কেটে যায়। একই সঙ্গে দূর্গা মা ও হনুমানজির বিশেষ পুজো করতে সুফল পাওয়া যায়। অনেকেই আষাঢ় মাসে বরুণ দেবতার পুজো করেন।এতে আর্থিক অবস্থা আরও শক্তিশালী হয়। সূর্য দেবতা আর মঙ্গল দেবের পূজা করলে শক্তি ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়।
যজ্ঞ
আষাঢ় মাস হিন্দু শাস্ত্র পবিত্র মাস। তাই এই মাসে যাজযজ্ঞ করলে গৃহস্থের কল্যাণ হয়। এই মাসকে বলা যজ্ঞ মাস। শাস্ত্র মতে আষাঢ় মাসে যজ্ঞ করলে তাৎক্ষণিক ফল পাওয়া যায়। জীবনে সুখ আর সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়।
দান-
জ্যোতিষ অনুযায়ী আষাঢ়় মাসে ছাতা, আমলা, খাট, আর নুন দান করা শুভ। মাসের প্রথম দিনে দান বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তা যদি সম্ভব না হয় তাহলে অবশ্যই বৃহস্পতিবার বা মঙ্গলবার দেখে দান করতে পারে।
উপবাস়
শাস্ত্র মতে আষাঢ় মাসের বিশেষ দিনগুলিতে উপবাস সুফল দেয়। এছাড়াও দেবশয়নী, একাদশী, নবরাত্রি ও যোগিনী একাদশীর মত ভালদিনগুলিকে উপবাস করলে লাভ হয় গৃহস্থের। এই মাসেই শুরু হয় চাতুর্মা।