সংক্ষিপ্ত
মহারাষ্ট্রে টানা চার দিনব্যাপী উৎসব। কোথাও বাতা দুদিনে পূজিত হয়ে থাকেন। এবার কখন শুরু হচ্ছে গণেশ পূজার লগ্ন, কোন তিথিতে পুজোয় বসলে পূরণ হবে মনস্কামনা, রইল বিশদ খবর।
দেখতে দেখতে চলে এলো গণেশ চতুর্থী। আর্থিক একটা মাসের অপেক্ষা। শারদীয় উৎসবে ভেসে উঠার প্রস্তুতি যেন ওঠে এ গণেশ চতুর্থী থেকেই। কুমোরটুলিতে তড়িঘড়ি গণেশ ঠাকুর নির্মাণের কাজ চলতে থাকে। কারণ এবার শুরু দুর্গাপুজোর শেষ লগ্নে এর প্রস্তুতি। ভাদ্র মাসে শুক্লপক্ষের চতুর্থী প্রতিবছর পূজিত হন গণেশ ঠাকুর। ভারতের বুকে মহারাষ্ট্রে এই পুজো মহা ধুমধামে হয়ে থাকে। এক কথায় বলা যেতে পারে এই বিশেষ দিনটি গণেশের জন্মদিন উপলক্ষে পালিত হয়ে থাকে।
চলতি বছর এই পুজো পড়েছে 10 সেপ্টেম্বর। এইসময় মহারাষ্ট্রে টানা চার দিনব্যাপী উৎসব। কোথাও বাতা দুদিনে পূজিত হয়ে থাকেন। এবার কখন শুরু হচ্ছে গণেশ পূজার লগ্ন, কোন তিথিতে পুজোয় বসলে পূরণ হবে মনস্কামনা, রইল বিশদ খবর। 10 সেপ্টেম্বর সারাদিন এই তিথি রয়েছে বলা চলে। কারণ 9 সেপ্টেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাত্রি বারোটার 17 মিনিট থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে এই পুজোর তিথি। যা চলবে 10 সেপ্টেম্বর রাত দশটা পর্যন্ত। পুরাণ অনুযায়ী এই সময়ের মধ্যেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন সিদ্ধিদাতা গণেশ।
কথিত আছে গণেশ পুজোর অন্তর থেকে কিছু চাইলে সিদ্ধিদাতা গণেশ খালি হাতে কাউকে ফেরান না। আর এবার এই বিশেষ দিনে রয়েছে আরও এক বিশেষ যোগ। যেই সময়ের মধ্যে গণেশ পুজো করলে মিলতে পারে সৌভাগ্যের চাবিকাঠি। 10 সেপ্টেম্বর সকাল 7 টা 37 মিনিটে থেকে 10:44 পর্যন্ত রয়েছে অমৃতযোগ। এই সময়ের মধ্যে গণেশ পুজো করলে মনস্কামনা পূর্ণ হয়। এইদিন ফল মিষ্টি সহযোগে নিয়ম মেনে নিষ্ঠা ভাবে সিদ্ধিদাতা গণেশের পুজো করলে ফিরতে পারে ভাগ্য এমনটাই কথিত, তাই সময় থাকতে এই বিশেষ তিথিতে পুজোর পরিকল্পনা করে নিতে পারেন।