সংক্ষিপ্ত

  • নতুন বাড়ির তৈর করার আগে মাথায় রাখুন কয়েকটি বিষয়
  • ইচ্ছে মতন রঙ নয়
  • মানসিক সমস্যা দূর করবে নির্দিষ্ট কয়েকটি রঙ
  • সেই দিকে নজর দিয়েই পছন্দ করুর ঘরের রঙ

বাস্তুর ওপর আস্থা রাখানে অনেকেই। কিন্তু যারা কেবলই নিজের স্বপ্নের বাড়ি বানানোর কথা মাথায় রেখেই ঘরের রঙ পছন্দ করেন তাদের জেনে রাখা প্রয়োজন, ঘরের রঙ কেবল মাত্র যে বাস্তুর কথা মাথায় রেখেই পছন্দ করতে হয় এমনটা নয়। আমাদের মনের ওপরেও বাড়ির রঙের প্রভাব পরে বিস্তর। কোন ঘরে কেমন রঙ হলে মন ভালো থাকবে, এবং সেই ঘরের কাজও ভালো হবে, তার হদিশ মেনে মনরোগ বিশেষজ্ঞর কাছে গেলেই। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী ঘরের রঙের ওপর নির্ভর করে মানসিকতা, শরীর স্বাস্থ্য প্রভৃতি। তাই সেই দিকে নজর দিয়েই পচ্ছন করে ফেলুন কোন ঘরের রঙ কী হবে।

বসার ঘরঃ বসার ঘরে বাইরে থেকে অতিথি আসলে সেই ঘরে যদি কোনও হালকা রঙ দেখেন তবে তাদের মনের ওপর নিরাশ বা হতাশা কাজ করে, তাই ঘরের রঙ সর্বদা উজ্জ্বল রাখা প্রয়োজন।  যেমন হলুদ, কমলা, বাদামী, ধূসর প্রভৃতি রঙ। 
রান্না ঘরঃ রান্না ঘরের রঙ একটু ভেবে চিন্তে তৈরি করতে হয়, কারণ এই ঘরে হালকা রঙে বেশি দিন টেকশই হয় না অন্যদিকে এই ঘরে একটু গাঢ় রঙ করলে রানান করতে বেশ লাগে, অন্তত পক্ষে বিশেষজ্ঞদের তেমনটাই মতামত।
খাবার ঘরঃ খাবার ঘরের রঙের প্রতি অতি অবশ্যই যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন, এই ঘরে খাবার টেবিলে বসার সময় যদি ঘরের রঙের প্রতি আকর্ষণের অভাব ঘটে তবে খাবারের প্রতি অনীহা তৈরি হয়ে যায়। তাই খাবার ঘরের রঙ মূলত নীল রাখুন। এই রঙ খিদে বাড়াতে সাহায্য করে।
শোওয়ার ঘরঃ সারাদিনের ক্লান্তি কাটানোর জন্য এই ঘরের রঙ সব থেকে বেশি সাহায্য করে থাকে। তাই এই ঘরের রঙ রাখুন নীল, সবুজ বা ল্যাভেন্ডর। যাতে মানসিক শান্তি বজায় থাকবে।
বাথরুমঃ বাথরুমে হালকা রঙ থাকলে তা সর্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন দেখায়। তাই ক্রিম অথবা সাদা রঙ রাখতে পারে, তবে সেখানে টাইলস দিয়ে সৌন্দর্যতা বাড়ানো যেতে পারে।