সংক্ষিপ্ত
শাস্ত্র মতে, মা লক্ষ্মী ধন সম্পদ প্রদান করেন আর কুবের দেবতা রক্ষা করেন সেই সম্পত্তি। সে কারণে মা লক্ষ্মীর পুজোর পর কুবের দেবতার পুজো হয়ে থাকে। কুবের দেবতার পুজো না করলে মা লক্ষ্মীর পুজো অসম্পূর্ণ থেকে যায়। কোজাগরী পূর্ণিমা তিথি ও দীপাবলি অমাবস্যায় ভগবতী মা লক্ষ্মীর পুজোর পর কুবের দেবতার পুজিত হন।
ধন দেবী লক্ষ্মী আর ধন দেবতা কুবে- সর্বত্র এই কথা প্রচলিত। আর্থিক বৃদ্ধি ঘটাতে, অর্থ সংক্রান্ত জটিলতা দূর করে কিংবা সম্পত্তি বিস্তারে অধিকাংশই মা লক্ষ্মীর সঙ্গে ধন দেবতা কুবেরের পুজো করে থাকেন। কিন্তু, জানেন কি মা লক্ষ্মীর সঙ্গে কেন পুজিত হন ভগবান কুবের? রইল সেই পৌরাণিক কাহিনি। শাস্ত্র মতে, মা লক্ষ্মী ধন সম্পদ প্রদান করেন আর কুবের দেবতা রক্ষা করেন সেই সম্পত্তি। সে কারণে মা লক্ষ্মীর পুজোর পর কুবের দেবতার পুজো হয়ে থাকে। কুবের দেবতার পুজো না করলে মা লক্ষ্মীর পুজো অসম্পূর্ণ থেকে যায়। কোজাগরী পূর্ণিমা তিথি ও দীপাবলি অমাবস্যায় ভগবতী মা লক্ষ্মীর পুজোর পর কুবের দেবতার পুজিত হন।
হিন্দু ধর্ম অনুসারে কুবের হলেন ধন সম্পদ্রে দেবতা ও যক্ষ নামক উপদেবতাদের রাজা। তিনি পৃথিবীর রক্ষাকর্তা হিসেবে পুজিত হন। তিনি ধনাধিপতি ও ধনীতম দেবতার মর্যাদা লাভ করেছিলেন। তাঁকে জগতের কোষাধ্যক্ষ রূপে পুজো করা হয়। কথিত আছে, বেঙ্কটেশ্বর পদ্মাবতীকে বিবাহ করার জন্য কুবেরের থেকে কিছু ঋণ গ্রহণ করেছিলেন। এই কথা স্মরণ করে ভক্তেরা তিরুপতি মন্দিরে বেঙ্কটেশ্বরের হুন্ডি-তে দান করেন। যাতে বেঙ্কটেশ্বর কুবেরের ঋণ শোধ করতে পারে। হিন্দু ধর্ম ছাড়া, বৌদ্ধ ও জৈন পুরাণে কুবেরের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
অন্য দিকে, মা লক্ষ্মীর উৎপত্তি নিয়েও রয়েছে নানা কাহিনি। বিষ্ণু পুরাণ, ভাগবত, মহাভারত অনুসারে লক্ষ্মীর উৎপত্তি হয়েছিল সমুদর থেকে। দপর্বাসা মুনির শাপে স্বর্গ একদা শ্রীহীন বা লক্ষ্মী ছাড়া হয়ে পড়েছিল। সে সময় স্বর্গের ঐশ্বর্য ফিরে পেতে দেবতারা অসুরদের সঙ্গে সমুদ্র মন্থন করেন। সেই সমুদ্র মন্থনের ফলে উঠে আসে নানা রত্ন, মাণিক্য, অমৃতসুধা। উঠে আসেন দেবী লক্ষ্মী। যেহেতু দেবী লক্ষ্মী হলেন ধনের দেবী তাই ধনের সঙ্গে তাঁর আগমণের কাহিনি প্রচলিত। এই কাহিনি বেশি প্রচলিত।
মা লক্ষ্মী সকলের দারিদ্রতা দূর করেন। তিনি সকলকে অর্থ প্রদান করেন। সকলের সম্পত্তির বৃদ্ধি ঘটান। তেমনই কুবের সেই সম্পত্তি রক্ষা করেন। সে কারণে ধন দেবী মা লক্ষ্মী ও ধনদেবতা কুবের পুজিত হন এক সঙ্গে। শাস্ত্রে রয়েছে এমন পৌরাণিক কাহিনি। প্রচলিত হয়েছে এমনই কাহিনি। এভাবেই প্রায় সকল দেবতাকে নিয়ে নানান কাহিনি উল্লেখ রয়েছে শাস্ত্রে।
আরও পড়ুন- পুষ্টিকর খাদ্যগ্রহণে এরা আগ্রহী থাকেন সব সময়, রইল চার রাশির কথা
আরও পড়ুন- মিথ্যা কথা লেগে থাকে এদের মুখের গোড়ায়, সাবধান থাকুন এই চার রাশি থেকে
আরও পড়ুন- করওয়া চৌথ ব্রতের সময় কখন এবং কীভাবে উদযাপন করবেন, জেনে নিন উপাদান এবং পদ্ধতি