সংক্ষিপ্ত
যে কোনও পুজো শুরুর আগে ভগবান গণেশের আরাধনার নিয়ম বর্ণিত আছে শাস্ত্রে। তাছাড়াও, বুধবার (Wednesday) দিনটি গণেশের দিন হিসেবে উৎসর্গ করা হয়েছে। কথিত আছে, প্রতি সপ্তাহে বুধবার ভগবান গণেশের আরাধনা করলে সর্ব কাজে সফল হবেন। আজ জেনে নিন ভগবান গণেশ প্রসঙ্গে কয়টি অজানা কথা।
শাস্ত্র মতে, ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থীতে পুজিত হন ভগবান গণেশ (Lord Ganesh)। হিন্দু ধর্মে তিনি সঙ্কটমোচন দেবতা। বলা হয়, গণপতির আরাধনা করলে সমস্ত বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। বছরে একাধিকবার মর্ত্যে আসেন গণপতি। এমনকী, যে কোনও পুজো শুরুর আগে ভগবান গণেশের আরাধনার নিয়ম বর্ণিত আছে শাস্ত্রে। তাছাড়াও, বুধবার (Wednesday) দিনটি গণেশের দিন হিসেবে উৎসর্গ করা হয়েছে। কথিত আছে, প্রতি সপ্তাহে বুধবার ভগবান গণেশের আরাধনা করলে সর্ব কাজে সফল হবেন। আজ জেনে নিন ভগবান গণেশ প্রসঙ্গে কয়টি অজানা কথা।
জানা যায়, ভগবান গণেশ মহাভারতের স্রষ্টা। এটা বিশ্বাস করা হয় যে, ঋষি ব্যাস দেব ভগবান গণেশকে মহাভারত লেখার অনুরোধ করেছিলেন। অনেকেরই বিশ্বাস মহাভারতের প্রথমাংশ ভগবান গণেশ রচনা করেন।
ভগবান গণেশ গণপতি নামে পরিচিত। ‘গণ’ মানে শ্রেণী। আমরা আমাদের ইন্দ্রিয়ের মাধ্যেমে যা উপলব্ধি করি বা আমাদের মনের মধ্যে যা উপলব্ধি করি তার সমস্ত কিছু শ্রেণী অনুসারে প্রকাশ পায়। আর ‘গণ পতি’ হলেন শ্রেণীগুলোর প্রভু।
জানা যায়, ভগবান গণেশের জনপ্রিয়তা শুধু হিন্দুদের (Hindu) মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। তিনি বৌদ্ধধর্মেরও দেবতা বিনায়ক। তিব্বত, চিন, জাপানেও পুজিত হন ভগবান গণেশ।
হিন্দু পুরাণ অনুসারে, দেবী পার্বতীর (Devi Parvati) বন্ধু জয়া ও বিজয়ার প্রভু গণেশকে বানানোর সিদ্ধান্ত নেন। পার্বতীর শরীরের ময়লা থেকে ভগবান গণেশকে তৈরি করেন।
ভগবান গণেশের (Lord Ganesh) ১০৮টি নাম আছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, অমিত। যার অর্থ অতুলনীয় প্রভু। অবনীশ, যার অর্থ সমগ্র বিশ্বের প্রভু। ভীম, এই নামের অর্থ বিশার। ভূপতি নামের খ্যাত ভগবান গণেশ। এই ভূপতি শব্দের অর্থ ঈশ্বরের প্রভু। বুদ্ধিনাথ নামে পুজিত হন ভগবা গণেশ। যার অর্থ জ্ঞানের ঈশ্বর। এমনকী, বুদ্ধিপ্রিয়া নামে পুজিত হন ভগবান গণেশ। এর অর্থ জ্ঞান।
আরও পড়ুন: Chanakya Niti: এই ৫ গুণের অধিকারী মহিলারা প্রতিটি ব্যক্তির ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে
ভগবান গণেশের প্রিয় খাদ্য মোদক নিয়েও রয়েছে কাহিনি। পুরাণ অনুসারে একবার, ভগবান গণেশ ও পরশুরামের মধ্যে যুদ্ধ হয়েছিল। তখন পরশুরামের আঘাতে গণেশের দাঁত ভেঙে গিয়েছিল। তিনি কিছু খেতে পারছিলেন না। সে সময় এমন কিছু খাবার বানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়, যা ভগবান গণেশ সহজে চিবিয়ে খেতে পারবেন। তখন তৈরি হয় মোদক। সেই থেকে নরম ও সুস্বাদু মোদক ভগবাণ গণেশের প্রিয় খাদ্য হিসেবে বিবেচিত হয়।