সংক্ষিপ্ত
প্রচলিত কথা অনুসারে, চৈত্র মাসের পূর্ণিমা তিথিতে জন্ম হয় সংকটমোচন হনুমানের। দিনটি ছিল মঙ্গলবার। সেই থেকে মঙ্গলবার পুজিত হন ভগবান হনুমান। কেশরী ও দেবী অঞ্জনার পুত্র আরও পাঁচ পুত্র ছিল। অর্থাৎ, ভগবান হনুমানের পাঁচ ভাই ছিল। আজ জেনে নিন ভগবান হনুমানের পরিবার প্রসঙ্গে কয়টি অজানা কাহিনি।
কথিত আছে ভগবান হনুমানের (Lord Hanuman) পুজো করলে সকল কার্যে সিদ্ধি লাভ সম্ভব। যে কোনও সংকট কাটাতে ভক্তরা বজরঙ্গীকে স্মরণ করেন। তিনি দেবী অঞ্জনার (Anjana) গর্ভে জন্ম নিয়েছিলেন বলে, অঞ্জনাপুত্র নামে বিশ্বখ্যাত। তিনি পবন পুত্র নামেও খ্যাত। কারণ পবন দেবের আশীর্বাদে তাঁর জন্ম হয়। প্রচলিত কথা অনুসারে, চৈত্র মাসের পূর্ণিমা তিথিতে জন্ম হয় সংকটমোচন হনুমানের। দিনটি ছিল মঙ্গলবার। সেই থেকে মঙ্গলবার পুজিত হন ভগবান হনুমান। আজ জেনে নিন ভগবান হনুমানের পরিবার প্রসঙ্গে কয়টি অজানা কাহিনি।
শ্রী রামের শ্রেষ্ঠ ভক্ত হিসেবে পরিচিত ভগবান হনুমান। তিনি শক্তি ও জ্ঞানের দেবতা। বানর কুলে জন্ম হয় ভগবান হনুমানের। বানররাজ কেশরী ও দেবী অঞ্জনার পুত্র ছিলেন ভগবান হনুমান। কেশরী ও দেবী অঞ্জনার পুত্র আরও পাঁচ পুত্র ছিল। অর্থাৎ, ভগবান হনুমানের পাঁচ ভাই ছিল। বারন প্রধান কেশরীর জ্যেষ্ঠ পুত্র ছিলেন ভগবান হনুমান (Lord Hanuman)। অন্যান্য সন্তানরা হলেন, মতিমান, শ্রুতিমান, কেতুমান, গতিমান ও ধৃতিমান।
হনুমান ও ভীম দুই ভাই ছিলেন। হনুমান পবন দেবের আশীর্বাদে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ভীমও পবন দেবের কৃপায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। মহারাজ পান্ডু যখন তাঁর স্ত্রী কুন্তী (Kunti) ও মাদ্রীকে নিয়ে বনবাস করছিলেন, সেই সময় রানি কুন্তি পুত্র লাভের ইচ্ছায় পবন দেবের আরাধনা করেন। যার ফলশ্রুতি ভীমের জন্ম হয়। ফলে, হনুমান ও ভীম দুই ভাই।
ভগবান হনুমানে মা ছিলেন একজন অভিশপ্ত স্বর্গীয় নারী। একজন ঋষির অভিশাপে তাঁর বানর কুলে জন্ম হয়। পরে তাঁর সঙ্গে বানর প্রধান কেশরীর বিবাহ হয়েছিল। তাঁরই গর্ভে জন্ম নেন ভগবান হনুমান। হনুমানজী হলেন শিবের (Lord Shiv) অংশ। ভগবান বিষ্ণু রামের অবতারে জন্ম নেবেন স্থির করেন। তখন মহাদেব স্থির করেন তিনি মর্ত্য আসবেন। সে সময় ভগবান রামের শ্রেষ্ঠ ভক্ত হিসেবে জন্ম হয় হনুমানজীর।
আরও পড়ুন: Saraswati Puja 2022: এক নজরে ২০২২ সালের সরস্বতী পূজার দিন-ক্ষণ ও তিথি
ব্রক্ষ্মচারী হওয়া সত্ত্বেও ভগবান হনুমানের একজন পুত্র ছিল। তিনি হলেন মকরধ্বজ। কথিত আছে, ভগবান হনুমানের (Lord Hanuman) লেগে আগুন লাগিয়ে দেন রাবন রাজ। সেই আগুনে লঙ্কা দাহ করেন হনুমান। এরপর শরীরে উত্তাপ কমাতে তিনি সমুদ্রে ডুব দিয়েছিলেন। তখন হনুমানের শরীর থেকে নির্গত ঘাম একটি মাছ খেয়ে ফেলে। সেখান থেকে জন্ম হয় মকরধ্বজের।