সংক্ষিপ্ত
- মহামারী অবহেই শারদ উৎসবের প্রস্তুতিতে মেতে উঠছে বাংলা
- সকলের দুর্গতি নাশ করেন বলে তাঁকে দুর্গা নামে অভিহিত করা হয়
- বিষ্ণুর নির্দেশে সকল দেবতার তেজঃপুঞ্জ থেকে যে দেবীর জন্ম হয় দেবী দুর্গার
- কিছু নিয়ম পালন করে মায়ের কৃপাদৃষ্টি লাভ করে সৌভাগ্য ফিরিয়ে আনতে পারবেন
সকলের দুর্গতি নাশ করেন বলে তাঁকে দুর্গা নামে অভিহিত করা হয়। দেবী দুর্গা আদ্যাশক্তি, মহামায়া, শিবানী, ভবানী, দশভুজা, সিংহবাহনা ইত্যাদি নামেও অভিহিত হন। কালী বিলাসতন্ত্র, কালিকাপুরাণ, দেবীভাগবত, মহাভাগবত, বৃহন্নন্দিকেশ্বরপুরাণ, দুর্গাভক্তিতরঙ্গিণী, দুর্গোৎসববিবেক, দুর্গোৎসবতত্ত্ব প্রভৃতি গ্রন্থে দেবী দুর্গা সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। দেবতাদের শক্তিতে শক্তিময়ী এবং বিভিন্ন অস্ত্রে সজ্জিতা হয়ে এ দেবী যুদ্ধে মহিষাসুরকে বধ করেন। তাই দেবীর এক নাম হয় মহিষমর্দিনী।
শরতের নীল আকাশ আর মাঠে ঘাটে কাশ ফুল জানান দিচ্ছে ঘরে মেয়ের আসার সময় হয়েছে। মহামারি আবহেই বাংলার অলিতে-গলিতে চলছে মাতৃ বন্দনার প্রস্তুতি। ব্রহ্মার বরপ্রাপ্ত মহিষাসুর নামে এক দানব স্বর্গরাজ্য দখল করলে দেবতারা বিষ্ণুর শরণাপন্ন হন। বিষ্ণুর নির্দেশে সকল দেবতার তেজঃপুঞ্জ থেকে যে দেবীর জন্ম হয় দেবী দুর্গার। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, আমাদের জীবনে দুর্গতির পিছনে রয়েছে আমাদের কিছু কু-অভ্যাস। আর এই অভ্যাসগুলোই জীবনে ডেকে নিয়ে আসে জীবনে দুর্ভাগ্য। তবে এই দেবীপক্ষে আপনি যদি কিছু নিয়ম পালন করেন তবে আপনার উপর মায়ের কৃপাদৃষ্টি লাভ করে সৌভাগ্য ফিরিয়ে আনতে পারবেন।
দেবীপক্ষের শুরুর দিন থেকেই গৃহদেবতার পুজো সেরে নিয়ে তবে ঘরের বাকি কাজ শুরু করুন। ঘুম থেকে ওঠার পরেই প্রথমেই নিজের হাতের তালু দিকে একবার নজর দিয়ে দিন, মনে করা হয় এতে পুরো দিন খুব ভালো কাটবে। ইষ্ট দেবতার অবস্থান হাতের তালুতে, তাই সকালবেলা প্রথমেই আপনার দৃষ্টি হাতের তালুতে পড়লে ইষ্ট দেবতা সহ সকল গ্রহ শুভ ফল দেয়। দেবীপক্ষ চলাকালীন ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে এবং ঘুমোতে যাওয়ার আগে ইষ্ট দেবতাকে স্মরণ করুন। এই সময় সকাল বেলায় স্নান সেরে সূর্য্য দেবতাকে স্মরণ করে প্রণাম করুন। দেবীপক্ষ চলাকালীন সন্ধ্যে প্রদীপ নিয়মিত দেওয়া প্রয়োজন তবেই সংসারে ফিরবে সুখ ও সমৃদ্ধি।