সংক্ষিপ্ত

বিদুর নীতিতে কূটনীতি, যুদ্ধনীতি থেকে শুরু করে রাজনীতির সূক্ষ্ম বিবরণ উল্লেখ করা হয়েছে। এই বিদুর নীতিতে, সম্পদ উপার্জন এবং সঞ্চয় সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নীতিগুলি বলা হয়েছে। 
 

মহাত্মা বিদুর এবং মহারাজা ধৃতরাষ্ট্রের মধ্যে কথোপকথনের সংগ্রহটি বিদুর নীতি নামে পরিচিত। এই বিদুর নীতিতে কূটনীতি, যুদ্ধনীতি থেকে শুরু করে রাজনীতির সূক্ষ্ম বিবরণ উল্লেখ করা হয়েছে। এই বিদুর নীতিতে, সম্পদ উপার্জন এবং সঞ্চয় সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নীতিগুলি বলা হয়েছে। 

অর্থের সঠিক ব্যবহার করুন : 
বিদুর নীতির মতে, অর্থ উপার্জনের চেয়ে অর্থ সঞ্চয় করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ । অতএব, যখনই আপনি অর্থ সঞ্চয় করার কথা ভাবছেন, তখন বিনিয়োগ করার আগে খুব সাবধানে চিন্তা করুন। তবেই বিনিয়োগ করুন।

সত্যের পথে চলুন : 
বিদুর নীতিতে বলা হয়েছে যে সঠিক পথে অর্জিত অর্থ আপনাকে সাফল্য দেয় এবং অর্থনৈতিক উন্নতির পথও প্রশস্ত করে । তাই একজন মানুষের সব সময় সত্যের পথে চলা উচিত, কিন্তু মানুষ দ্রুত অর্থ উপার্জনের লোভে ভুল পথ অবলম্বন করে। মহাত্মা বিদুরের মতে, ভুল পথে অর্জিত অর্থ অপচয়ের দিকে নিয়ে যায়।

সঞ্চয় করতে শিখুন : 
বিদুর নীতিতে বলা হয়েছে যে ধন সঞ্চয় করতে মনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। কারণ মানুষের মন খুবই চঞ্চল। টাকা হাতে আসা মাত্রই তা খরচ করার নানা পরিকল্পনা করতে থাকে। সেই পরিকল্পনাগুলো পূরণ করতে গিয়ে অর্থের অপচয় হয়।

আরও পড়ুন- ঘুমিয়ে থাকা ভাগ্যও জেগে ওঠে এই রত্নের সাহায্যে, ধারণের সঙ্গে সঙ্গে মেলে আশ্চর্যজনক ফলাফল

আরও পড়ুন- এই রাশির জাতকদের অবশ্যই মুক্তো ধারণ করা উচিৎ, মা লক্ষ্মীর কৃপা বজায় থাকবে

আরও পড়ুন- বাড়ির এই দিকে অপরাজিতা গাছ থাকলে মেলে নানান উপকার, কেটে যায় শনির দোষ

খারাপ আসক্তির চক্রে আটকাবেন না : 
মহাত্মা বিদুরের মতে, প্রতিটি পরিস্থিতিতে একজন ব্যক্তির ধৈর্যশীল হওয়া উচিত । খারাপ সময় এলেও ধৈর্য্য হারিয়ে অন্যায় কাজ করা উচিত নয় এবং বেশি টাকা এলে খারাপ আসক্তির ফাঁদে পা দেওয়া উচিত নয়। উভয় অবস্থাতেই ধৈর্য না ধরলে জীবন নষ্ট হয়ে যেতে পারে।