সংক্ষিপ্ত

শাস্ত্রে মকর সংক্রান্তির (Makar Sankranti)  বিশেষ গুরুত্ব আছে। এক পৌরাণিক কাহিনি আছে মকর সংক্রান্তি ঘিরে। কাহিনি অনুসারে, শিবের জটা থেকে বের হয়ে পৃথিবীতে প্রবাহিত হয়ে গঙ্গা। এদিন পূণ্য অর্জনের জন্য পবিত্র নদীতে স্নান করার রীতি বহু যুগ ধরে চলে আসছে। কিন্তু, জানেন কি কেন এদিন স্নান করা হয়।

আজ মকর সংক্রান্তি। ভোর থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে পুণ্য স্নান। গঙ্গাসাগর, গঙ্গা, সমুদ্র সৈকতে ভিড় জমিয়েছেন পূণ্যার্থীরা। এদিন সূর্য ধনু থেকে মকর রাশিতে প্রবেশ করে, তখন পালিত হয় মকর সংক্রান্তি। হিন্দু শাস্ত্রে, মকর সংক্রান্তি (Makar Sankranti) একটি উল্লেখযোগ্য দিন। এদিন পূণ্য অর্জনের জন্য পবিত্র নদীতে স্নান করার রীতি বহু যুগ ধরে চলে আসছে। কিন্তু, জানেন কি কেন এদিন স্নান করা হয়। 
বছরে সূর্য ১২টি রাশির মধ্য দিয়ে যায়। সেই দিনগুলো সংক্রান্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সূর্য এদিন ধনু রাশি ছেড়ে প্রবেশ করে মকর রাশিতে। শাস্ত্রে মকর সংক্রান্তির (Makar Sankranti)  বিশেষ গুরুত্ব আছে। এক পৌরাণিক কাহিনি আছে মকর সংক্রান্তি ঘিরে। কাহিনি অনুসারে, শিবের জটা থেকে বের হয়ে পৃথিবীতে প্রবাহিত হয়ে গঙ্গা। মা গঙ্গার পুণ্যবারিস্পর্শে বেঁচে ওঠেন সগর রাজার ষাট হাজার পুত্র। কপিল মুনির অভিষাপে ভষ্ম হয়েগিয়েছিলেন সাগর রাজার সন্তানরা। ঘটনাটি ঘটেছিল মকর সংক্রান্তির দিন। 

জানা যায়, রাজা সগর অশ্বমেধ যজ্ঞের আয়োজন করেন। যজ্ঞের রীতি অনুসারে, একটি সারা ঘোড়াকে ভোজন করিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। সে ফিরে এলে, তার পুজো করা হয়। এই যজ্ঞের খবরে ভীত হয়ে যান দেবরাজ ইন্দ্র। তিনি ঘোড়াটি চুরি করে কপিল মুনির আশ্রমে বেঁধে রাখেন। যা কপিল মুনি জানতেন না। এদিকে, রাজার ৬০ হাজার সন্তান ঘোড়া খুঁজতে বের হয়। তাঁরা কপিল মুনির আশ্রমে ঘোড়া দেখতে পেয়ে তাঁকেই দোষ দেন। তখন মুনির অভিশাপে ভষ্ম হয়ে যায়। তাদের যদিও আবার ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছিল। তাঁদের বংশের পঞ্চম পুরুষ ভাগীরথ যজ্ঞ করে ব্রহ্মাকে সন্তুষ্ট করেন। শেষ পর্যন্ত তাঁর বরে গঙ্গা পৃথিবীতে প্রবাহিত হন। মা গঙ্গার পুণ্যবারিস্পর্শে বেঁচে ওঠেন সগর রাজার ষাট হাজার পুত্র। ঘটনাটি ঘটেছিল মকর সংক্রান্তির দিন। 

আরও পড়ুন: Gangasagar Mela: উধাও করোনাবিধি, মকর সংক্রান্তিতে ভোর থেকেই গঙ্গাসাগরে চলছে পুণ্যস্নান

আরও পড়ুন: Makar Sankranti 2022: মকর সংক্রান্তির দিন ভাগ্য বদলাতে দেবতার আরাধনা করুন, জেনে নিন কোন পুজো করবেন

সেই থেকে এই বিশেষ তিথিতে গঙ্গা স্নানের রীতি চলে আসছে। শাস্ত্র মতে, মকর সংক্রান্তির দিন স্নান করলে ১০০ যোজ্ঞ সমান পূণ্য হয়। এদিন পুণ্যার্থীরা গঙ্গাসাগরে স্নান সেরে কপিল মুনির আশ্রম পরিদর্শন করেন। মনে করা হয়, মকর সংক্রান্তির শুভক্ষণে স্নান করলে পুণ্য লাভ হয়। শাস্ত্র মতে, এই দিন কারও মৃত্যু হলে তিনি মোক্ষ লাভ করেন। এবছর পুণ্যস্নানের শুভ সময় ৭.১৫ থেকে শুরু হবে, চলবে সন্ধ্যা ৫.৪৪ পর্যন্ত। মহাপুণ্য কাল সকাল ৯টা থেকে ১০.৩০ মিনিট পর্যন্ত। এরপর দুপুর ১.৩২ থেকে ৩.২৮ মিনিট পর্যন্ত।