সংক্ষিপ্ত

চিন (China) থেকে বাংলাদেশি সেনার (Bangladesh Army) আমদানী করা প্রশিক্ষক বিমান, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা-সহ বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জামে ত্রুটি ধরা পড়েছে। যার জেরে চিন থেকে কেনা অন্যান্য সমরাস্ত্রের মান নিয়েও সন্দিহান ঢাকা (Dhaka)।
 

হায় হায় করছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। গত বেশ কয়েক বছর ধরে তারা সমানে চিনের (China) সঙ্গে সামরিক অংশিদারী বাড়িয়েছে। চিনের থেকে একের পর সমরাস্ত্র কিনেছে। কোটি-কোটি টাকা খরচ করে কেনা সেই সব অস্ত্রশস্ত্র এখন ভোঁতা হতে শুরু করেছে। চিন থেকে বাংলাদেশের আমদানী করা প্রশিক্ষক বিমান, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা-সহ বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জামে ত্রুটি ধরা পড়েছে, বলে জানা গিয়েছে বাংলাদেশি সেনা (Bangladesh Army) সূত্রে। এর জেরে চিন থেকে বাংলাদেশি নৌ-বাহিনীর (Bangladesh Navy) যে ফ্রিগেটগুলি (Frigates) পাওয়ার কথা, সেগুলির গুণমান নিয়েও সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে চিনের কাছ থেকে করভেট (Corvettes), নৌ-কামান (Naval Guns), জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র (Anti-ship Missiles), এফএম-৯০ ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা (FM-90 Surface-to-air Missile) -সহ প্রচুর পরিমাণে সামরিক অস্ত্রশস্ত্র সংগ্রহ করেছে। ২০১৬ সালে, নৌশক্তি বাড়াতে চিনের থেকে ২০৩ মিলিয়ন ডলার দিয়ে দুটি সাবমেরিন (Submarine) কিনেছিল। যা নিয়ে সংসদে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina)। কিন্তু, তারপরও সামরিক সরঞ্জামের বিষয়ে চিনের উপর নির্ভরশিলতা কমায়নি ঢাকা (Dhaka)।

২০১৪ সালেই বাংলাদেশ, চিনের থেকে প্রথম কে-৮ডব্লু ট্রেনার জেট বিমান (K-8W Jet Trainers) পেয়েছিল। ২০২০ সালে আরও ৭টি কে-৮ডব্লু যুদ্ধবিমান সরবরাহ করে চিন। এর মধ্যে অন্তত দুটিতে সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে খবর রয়েছে। ২০১৮ সালে দুই দেশের মধ্যে আরও একটি সামরিক চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশি নৌবাহিনীকে বেশ কয়েকটি ফ্রিগেট দেওয়ার কথা ছিল বেজিং-এর (Beijing)। কিন্তু কে-৮ডব্লু প্রশিক্ষক বিমানগুলিকে ত্রুটি ধরা পড়ার পর, ফ্রিগেট গুলির গুণমান নিয়েও সন্দিহান বাংলাদেশ। যতদূর জানা যাচ্ছে, আপাতত ফ্রিগেটগুলি নাও কিনতে পারে বাংলাদেশ। 

তবে, গত কয়েক বছরে দুই দেশের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ক্রমশ গভীর থেকে গভীরতর হয়েছে। চিনের কাছ থেকে শুধুমাত্র অস্ত্রশস্চ্র, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্রয় করছে বাংলাদেশ, তাইই নয়, বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশের সেনা কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মি বা চিনা পিএলএ (Chinese PLA)-এর ইনস্টিটিউটেও পাঠানো হয়ে থাকে। কাজেই, চাইলেই চিনের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না বাংলাদেশ।

চিন (China) থেকে বাংলাদেশি সেনার (Bangladesh Army) আমদানী করা প্রশিক্ষক বিমান, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা-সহ বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জামে ত্রুটি ধরা পড়েছে। যার জেরে চিন থেকে কেনা অন্যান্য সমরাস্ত্রের মান নিয়েও সন্দিহান ঢাকা (Dhaka)।