সংক্ষিপ্ত
খোকা ইলিশ ধরা রুখেছিলেন হাসিনা। সুফল পাচ্ছে বাংলাদেশ।
হাসিনার ইলিশ দাওয়াই, ফল মিলল হাতেনাতে।
বাংলাদেশের পয়লা বৈশাখ মানেই পান্তা ইলিশ। রমনা পার্কে সার দেওয়া দোকানে নুন, পেয়াজ, লঙ্কা, গন্ধরাজ আর সানকি ভরা পান্তা হাজার দু'হাজার টাকাতেও বিক্রি হয়। তবে ইলিশের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই এই অভ্যেসে রাশ টানতে আবেদন করেছিলেন শেখ হাসিনা। ২০১৭ সাল থেকেই প্রতিবার এই আবেদন রেখে আসছেন হাসিনা। এবারও ১১ এপ্রিল তিনি অনুরোধ করেছিলেন ইলিশ ধরবেন না, ইলিশ খাবেন না। এমনকী ইলিশের পরিবর্তে ডিম ভাজা, বেগুন ভাজার কথাও বলেন হাসিনা। গোটা দেশ যে তাঁর অনুরোধে সারা দিয়েছে বোঝা গেল সরকারি রিপোর্টেই।
প্রাণী সম্পদ দফতরের দেওযা তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে উলিশের গড় ওজন ছিল ৫৫০ গ্রাম। বেড়ে তা হয়েছে ৮৮০ গ্রাম। খোকা ইলিশ ধরার প্রবণতা কমায় বর্ষায় ইলিশের জোগানও বেড়েছে। ফলে ইলিশের গড়় দাম কমেছে অন্তত ২০ শতাংশ।
প্রসঙ্গত বাংলাদেশের প্রায় ৫ লক্ষ জেলের পেশা ইলিশ ধরা। ইকেো ফিশ প্রকল্পের তথ্য অনুযায়ী, খোকা ইলিশ না ধরার সিদ্ধান্তে এই জেলেদের বার্ষিক আয় বেড়েছে কম বেশি ২৫ হাজার টাকা।
এই মুহূর্তে সারা পৃথিবীর ইলিশ রপ্তানীর ৮৫ শতাংশ হয় বাংলাদেশ থেকে। পশ্চিমবঙ্গেও এই ইলিশের চাহিদা ব্যাপক।
মৎস্যবিদরা বলেন, ইলিশ বড় হলে তার স্বাদ ভাল হয়। তার পুষ্টিগুণও অনেক বেশি। সুতরাং হাসিনার পদক্ষেপ, সর্বোপরি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের শুভ উদ্যোগে আশা করা যায়, সারা পৃথিবীর ইলিশপ্রেমীর মন, পকেট দুইই আহ্লাদে আটখানা হবে গোটা বর্ষাকাল।