সংক্ষিপ্ত
- করোনায় প্রয়াত হলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী
- দুই দশকের বেশি সময় ধরে টিভি ও নাটকে অভিনয় করেছেন
- করোনার চিকিৎসা বাবদ হাসপাতালে বিল হয়েছে ৩ লক্ষ ৪০ হাজার
- সেই টাকা দিয়ে হাসপাতাল থেকে দেহ নিতে নারাজ দুই পুত্র
ভারতের মত বাংলাদেশের করোনা সংক্রমণ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রতিবেশী দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে তিন লক্ষ ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে এবার প্রয়াত হলেন বাংলাদেশের বর্ষীয়াণ অভিনেত্রী মিনু মমতাজ। মঙ্গলবার ঢাকার গ্রিন লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
গ্রিন লাইফ হাসপাতাল সূত্রে জানান হয়েছে, বর্ষিয়ান অভিনেত্রী করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। হাসপাতাল সূত্রে আরও জানান হয়েছে, জয়নব হাবিব ওরফে মিনু মমতাজ দুপুরে মারা গেলেও তার মরদেহ পড়ে আছে হাসপাতাল মর্গেই। কারণ হিসেবে জানা গেল প্রায় তিন লাখ টাকা বিল বাকি আছে হাসপাতালে। বিল পরিশোধ করতে হবে শুনেই তার সন্তানরাও কেউ আসছেন না দেহ নিতে।
হাসপাতালের তরফে আরও জানান হয়েছে, গত ৪ সেপ্টেম্বর মিনু মমতাজকে হাসপাতালে করোনা সন্দেহে ভর্তি করা হয়। টেস্ট করা হলে করোনা পজিটিভ আসে। এরপর তাঁকে করোনা ইউনিটে বিশেষ চিকিৎসা দেওয়া হয় ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। চিকিৎসা বাবদ মোটা অঙ্কের বিল বাকি রয়েছে। সেটা পরিশোধ করা নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এও দাবি করেছে, বিল কাঁটছাট করে মিনু মমতাজের মরদেহ আত্মীয়স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের ব্যবস্থা চলছে। যদিও বিল পরিশোধ করতে হবে শুনেই তার সন্তানরা কেউ আসছেন না। এই অবস্থায় তার সন্তানের একটি নম্বরে একাধিকবার ফোন করেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
মিনু মমতাজের দুই ছেলের মধ্যে ছোট ছেলে সানাউল্লাহ যুক্তরাষ্ট্রে বাস করছেন। তিনি আপাতত দেশে ফিরতে পারছেন না। আর বড় ছেলে আমানউল্লাহ ঢাকায় থাকলেও মায়ের মৃত্যুর পর হাসপাতালে যাননি বলে বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যেমে দাবি করা হয়েছে।
বাংলাদেশের অভিনয় জগতে অত্যন্ত পরিচিত নাম মিনু মমতাজ। কয়েক দশক ধরে টিভি নাটকে নিয়মিত অভিনয় করেছেন এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। অনেক সিনেমাতেও কাজ করেছেন তিনি। তবে কয়েক বছর ধরেই ডায়বেটিস ও কিডনির জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। চলতি মাসের শুরুর দিকে নাটকের শুটিংয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে কয়েকদিন তাঁকে আইসিইউতেও রাখা হয়। মিনু মমতাজের চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালে ৫ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছিলেন।