সংক্ষিপ্ত
শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন তাঁর মানসকন্যা অর্পিতা ঘোষ ও পুত্র সায়ক চক্রবর্তী। এশিয়া নেট নিউজ বাংলার তরফ থেকে যোগাযোগ করা হয় নাট্যব্যক্তিত্ব তথা তাঁর মানসকন্যা অর্পিতা ঘোষ ও পুত্র সায়ক চক্রবর্তী সঙ্গে।
২০২২ এর শুরু থেকে একের পর এক ইন্দ্র পতন ঘটে চলেছে। আবারও সংস্কৃতিক জগতে বটবৃক্ষের ছায়া হারালেন শিল্প মহল। রবিবার দুপুর তিনটে চল্লিশে নিজের বাড়িতেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন শাঁওলি মিত্র (Shaoli Mitra) । বাংলার নাট্যজগতের ( Bengal Theater) অনন্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। মৃত্যুর আগে লিখে রেখে গিয়েছিলেন ‘ইচ্ছাপত্র’। আর সেই ইচ্ছা পত্রে অনুযায়ীই তাঁর অসুস্থতা ও মৃত্যুসংবাদ আগে জানানো হয়নি। সিরিটি শ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন তাঁর মানসকন্যা অর্পিতা ঘোষ ও পুত্র সায়ক চক্রবর্তী।
এশিয়া নেট নিউজ বাংলার তরফ থেকে যোগাযোগ করা হয় নাট্যব্যক্তিত্ব তথা তাঁর মানসকন্যা অর্পিতা ঘোষ ও পুত্র সায়ক চক্রবর্তী সঙ্গে। শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ও স্মৃতিচারণে অর্পিতা ঘোষ জানান “শিরদাঁড়া সোজা রেখে চলতে শিখিয়েছিলেন সাওলী মিত্র। তিনি জানান, মৃত্যুর আগে তার মাতৃসম সাওলী মিত্র বলতেন আমি আমার ইচ্ছা পত্র লিখে যাব। নাহলে সকলে তোদের দোষারোপ করবে। তার ইচ্ছা পত্রে তিনি লিখে যান। “আমি যে অসুস্থতা ভোগ করছি, তাতে যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে, তাতে আমি খুশি। মৃত্যুর পর এই শরীরটিকে প্রদর্শন করায় আমার সংকোচ রয়েছে। সাধারণের অগোচরে শেষকৃত্য হোক।” একথাই ইচ্ছাপত্রে লিখেছিলেন শাঁওলি মিত্র। তাঁর সেই কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হয়েছে। অর্পিতা জানান “তিনি আমায় শিরদাঁড়া সোজা রেখে চলতে শিখিয়েছিলেন।’’
আরও পড়ুন- 'আমার শেষ ইচ্ছাটুকুও আমার পিতাকে অনুসরণ করেই'- যাওয়ার আগেও শেষ ইচ্ছেতে রেখে গেলে
আরও পড়ুন- Pandit Birju Maharaj: কথক সম্রাট বিরজু মহারাজ শুধু নাচ নন, বলিউডকেও দিয়েছেন তাঁর
প্রসঙ্গত বাবা শম্ভু মিত্র ও মা তৃপ্তি মিত্রর পথ ই অনুসরণ করলেন তার সুযোগ্য কন্যা। একের পর এক নাটক দর্শকদের উপহার দিয়ে গিয়েছেন শাঁওলি মিত্র। ‘ডাকঘর’, ‘পুতুলখেলা’, ‘বিতত বিতংস’, ‘একটি রাজনৈতিক হত্যা’, ‘পাগলা ঘোড়া’-র মতো নাটকে তাঁর অভিনয় রীতিমতো সাড়া জাগিয়েছিল। ‘নাথবতী অনাথবৎ’ ও ‘কথা অমৃতসমান’-এর একক অভিনয় কালজয়ী। ‘নাথবতী অনাথবৎ’-টানা ১০০ দিন হাউসফুল ছিল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরে ২০১২ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গ বাংলা অকাদেমির সভাপতির দায়িত্ব ভার সমলাছিলেন শাঁওলি মিত্র। পরবর্তী সময়ে শারীরিক অসুস্থতার জন্যেই আকাদেমির কাজ থেকে অব্যাহতি চান তিনি। ২০০৩ সালে সঙ্গীত নাটক অকাদেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি । ২০০৯ সালে ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানে ভূষিত হন ।