সংক্ষিপ্ত

এবার তো আত্মহননের পথ বেছে নিতে হবে। এই মন্তব্যের দু-তিন দিন পরই এই মন্তব্যের তীব্র কটাক্ষ করে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে এক হাত নিলেন, পরিচালক অনিকেত চট্টোপাধ্যায়।

৩রা জানুয়ারী থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছে আংশিক লকডাউন (Lockdown) । আর তার হাত ধরেই ফিরছে গত বছর লকডাউনের স্মৃতি। এখনও গত দুবছরের ক্ষতির ভরপাই করতে পারেননি কেউই। সেই তালিকায় বাদ পড়েননি টলিউড ইন্ডাস্ট্রির (Tollywood Industry) সাথে যুক্ত ব্যক্তিরাও। আর সেই আশঙ্কা থেকেই কিছুদিন আগে জনপ্রিয় সঙ্গিত শিল্পী রুপঙ্কর বাগচী (Rupankar Baghchi)  নিজের শোস্যাল মিডিয়ায় লেখেন এবার এই রকম চলতে থাকলে, এবার তো আত্মহননের পথ বেছে নিতে হবে। এই মন্তব্যের দু-তিন দিন পরই এই মন্তব্যের তীব্র কটাক্ষ করে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে এক হাত নিলেন, পরিচালক অনিকেত চট্টোপাধ্যায় (Aniket Chattarjee)।

তিনি রুপঙ্কর বাগচীর (Rupankar Bagchi) উদ্যেশ্যে লেখেন. গায়ক রূপঙ্কর বলেছেন শিল্পীদের কাজ নেই, অনুষ্ঠান নেই, এরকমটা চলতে থাকলে আত্মহননের পথ বেছে নিতে হবে। কোন শিল্পীদের কথা বলেছেন? গাঁয়ে গঞ্জে যে সব শিল্পী আছেন তাঁদের কথা? যখন মাচা রমরম করে চলছিল, তখন রূপঙ্কর কি তাঁদের জন্য কোনও কথা বলেছেন? একটাও কথা? না বলেন নি। তাহলে কাদের কথা বলছেন? যাঁরা বছর তিন চার আগেও ডেট দিতে পারতেন না? যাঁদের অনেকেরই একাধিক গাড়ি আছে, বাড়ি আছে। তাঁরা আত্মহননের পথ বেছে নেবে? একজন সংবেদনশীল শিল্পী সমাজের ভরসা, মানুষের প্রেরণা।

আরও পড়ুন- Big B Stuff COVID 19 Positive: অমিতাভ বচ্চনের বাড়িতে আবারও করোনার থাবা, আতঙ্কে ভক্তমহল

আরও পড়ুন- Raj-Subhasree COVID 19 Positive: টলিপাড়ায় বাড়ছে কোভিড, পক্স সারতেই ফের করোনার কবলে রাজ-শুভ

দেশের ৫০% শতাংশ মানুষ কেবল খাবারের জোগাড়ে ব্যস্ত, চাকরি চলে যাচ্ছে, মাইনে নেই, তৃতীয় ঢেউ আসছে। তাদের সাহায্য করতে হবে, সরকারের কাছে দাবি জানাতে হবে তাদের পাশে দাঁড়ানোর। সেই সময়ে বাংলার অন্যতম গায়ক আত্মহননের কথা বলছেন!! মানুষ মানুষের জন্য গান গাইতে গাইতে আত্মহননের কথা বলছেন শিল্পী নিজেই। প্রতিটা ট্রেডের, প্রতিটা পেশার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত, অতিমারীতে আক্রান্ত কেবল তাদের শরীর নয়, তাঁদের জীবন, দেশের অর্থনীতি। আত্মহনন পথ নয়, মানুষের হাত ধরুন রূপঙ্কর, এখনও আপনি সেই ১০ / ১৫% শতাংশ মানুষের দলেই পড়েন, যাদের মাথার ওপরে ছাদ আছে, খাবার আছে, গাড়ি আছে, ফ্রিজ আছে, ওভেন আছে, আপনি সেই ৩ কি ৪ % মানুষের মধ্যেই পড়েন, যাঁদের ছবি ছাপা হয় কাগজে, যাঁদের মানুষ চেনে। এ দুঃসময় কাটিয়ে উঠবোই আমরা। আত্মহনন নয়, সমিতির সাম্যে ও ঐক্যে, জনতার মুখরিত সখ্যে এই দুঃখ তিমির কেটে যাবে, যাবেই।

এই ঘটনার কিছুক্ষনের মধ্যে পালটা দেন গায়কও, তিনি অনিকেত চট্টোপাধ্যায়ের উদ্যেশ্যে লেখেন , অপনি ঠিকই বলেছেন দাদা। আসলে আমি ঠিক আমার আত্মহননের কথা বলিনি। আমি সেই সমস্ত যন্ত্র শিল্পী গায়ক, শব্দ প্রক্ষেপক আলোর মানুষদের কথা বলেছি যারা আপনার কথা অনুযায়ী, আমার মত বিত্তশালী নয়। অথচ, দিনের পর দিন গান বাজনার চারিপাশেই। ভূল বুধবেন না। 

ভিষণই সৌজন্যতার সাথে অনিকেত চক্রোবর্তীর শারীরিক অবস্থারও খোঁজ নেন রূপঙ্কর বাগচী। এরপরই নেটিজেনদের মতামত দুভাগে ভাগ হয়ে যায়। এই বাকযুদ্ধের অবসান কি এখানেই, নাকি এর জল আরও অনেক দূর গড়াবে , তা সময় বলবে।