সংক্ষিপ্ত
আগুন নিভতে না নিভতেই জ্বলন্ত প্রশ্নবাণ! পুরোটাই দুর্ঘটনা নাকি যোগসাজশ? তরজা উস্কে দিলেন প্রযোজক রানা সরকার।
বৃহস্পতিবার ভোরে কয়েক ঘণ্টায় পুড়ে ছাই এসকে মুভিজের গুদাম। বিভিন্ন প্রযোজনা সংস্থা বিষয়টিকে তাদের মতো করে বিশ্লেষণ করেছে। সংবাদমাধ্যমে অরোরা ফিল্মসের কর্ণধার অঞ্জন বসু যেমন জানিয়েছেন, শহরের কমবেশি প্রায় সমস্ত স্টুডিয়ো বা গুদাম আগুনে ভস্মীভূত। কলকাতায় এই ঘটনা নতুন নয়। তাঁদের প্রযোজনা সংস্থাও এমন দুর্ঘটনার সাক্ষী।
দুর্ঘটনা নিয়ে কী বক্তব্য ভস্মীভূত প্রযোজনা সংস্থার? একটি লিখিত বিবৃতিতে এসকে মুভিজের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভোরের এই দুর্ঘটনার জন্য তারা আন্তরিক দুঃখিত। সংস্থা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখিন। তার মধ্যেও আশার আলো, কেউ হতাহত হননি। এই বিবৃতির পরেই শুক্রবার সকালে বিষয়টির দিকে আঙুল রেখেছেন প্রযোজক রানা সরকার। এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিবৃতির উল্লেখ করে তাঁর প্রশ্ন, এসকে মুভিজের গুদামে আগুন লেগেছিল? না পূর্বপরিকল্পিত ভাবে লাগানো হয়েছিল? রানার যুক্তি, সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন যে সে দিকেই ইঙ্গিত করছে!
এই প্রসঙ্গে তাঁর আরও বক্তব্য, ‘আগুন যে সব সময় লেগে যায় এমন নয়। অনেক সময় আগুন লাগানোও হয়। বিমার টাকা পাওয়ার জন্য। নথি নষ্ট করে ফেলার জন্য। আরও অনেক অপরাধের প্রমাণ লুকিয়ে ফেলার জন্য। তাই ইন্ডাস্ট্রির মধ্যেও কানাঘুষো চলছে, পুরোটাই যোগসাজশের ফলাফল হতেও পারে!’ রানা নস্যাৎ করেছেন ভস্মীভূত প্রযোজনা সংস্থার প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির দাবিও। তিনি সংস্থার একটি টুইটের স্ক্রিনশট সামনে এনে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘সংস্থার সব পরিষেবাই চালু। তা হলে ক্ষতিটা কিসের হল?’ এসকে মুভিজের বিরুদ্ধে রানার ক্ষোভ এবং অভিযোগ কারওরই অজানা নয়। আগুন লাগার প্রসঙ্গে মুখ খুলে তিনি তাঁর পুরনো অভিযোগকে ফের সামনে আনতে ভোলেননি। তাঁর কথায়, ‘এই বিশেষ ব্যক্তিদের অপরাধমূলক কাজকর্মের অনেক অতীত ও বর্তমান নমুনা আছে। বর্তমানেও একটি ভুয়ো মামলায় পুলিশ সংস্থার দুই কর্ণধার অশোক ধানুকা এবং হিংমাংশু ধানুকার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে। যথারীতি তাঁদের নাগাল পাওয়া যায়নি।’
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যা রটেছে সেটাই কি বাস্তবে ঘটেছে? সংস্থার বিরুদ্ধে রানা সরকারের অভিযোগ কতটা সত্যি? জানতে এশিয়ানেট নিউজ বাংলা একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল অশোক ধানুকা এবং হিমাংশু ধানুকার সঙ্গে। তাঁদের ফোন বেজে গিয়েছে। এ দিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট আরও প্রশ্ন তুলে দিয়েছে, আগুন নেভানোর ব্যবস্থা এবং পর্যাপ্ত নিরাপত্তারক্ষী ছাড়াই দাহ্যপদার্থে ঠাসা একটি গুদামঘর কী করে এত দিন প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে ছিল? সংস্থার একাধিক দামী ক্যামেরাই বা এত ভোরে পাশের ক্লাবে সরালো কে? প্রসঙ্গত, চলতি বছরে ১০টি ছবি প্রযোজনার কথা ঘোষণা করে এসকে মুভিজ। অধিকাংশের শ্যুট হয়েছে লন্ডনে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন এবং রানার প্রশ্নবাণ অনুযায়ী, সব মিলিয়ে গন্ধটা তাই যথেষ্ট সন্দেহজনক! প্রকৃত সত্য জানতে আপাতত ফরেনসিক তদন্তের রিপোর্টই ভরসা।