সংক্ষিপ্ত
- বাংলায় ধর্মীয় হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে এফআইআর দায়ের কঙ্গনার বিরুদ্ধে
- টুইটার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করা হলেও এবার ইনস্টাগ্রামে সরব হয়েছেন কঙ্গনা
- ফের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কঙ্গনা
- মমতা রক্তপিপাসু বলে কটাক্ষ করেছেন কঙ্গনা রানাউত
কঙ্গনা রানাওয়াত মানেই কন্ট্রোভার্সি। বিতর্ক যেন কখনওই তার পিছু ছাড়ছে না । একের পর এক নয়া বিতর্কে বারেবারেই শিরোনামে উঠে আসছেন কন্ট্রোভার্সি কুইন কঙ্গনা রানাউত। কয়েকদিন আগেই সাসপেন্ড করা হল বলি অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের টুইটার অ্যাকাউন্ট। কঙ্গনার বিরুদ্ধে নীতি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছিল। যার কারণেই কঙ্গনার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করেছিল টুইটার। তার পরেও থামানো যাচ্ছে না কঙ্গনাকে।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে একের পর এক কুরুচিকর, বিভ্রান্তিকর তথ্য তুলে ধরছেন কঙ্গনা রানাউত। এবার বাংলায় ধর্মীয় হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে এফআইআর দায়ের করা হল কঙ্গনা রানাউতের বিরুদ্ধে। কোন মামলা করেই যে তাকে থামানো যাবে না। তা স্পষ্ট জানিয়েছে কঙ্গনা। লাগামছাড়া অশ্লীল ভাষায় কুরুচিকর মন্তব্য করতেও দ্বিধাবোধ করেননি কঙ্গনা। বরং তৃণমূলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'রাক্ষসী' বলেও তোপ দাগলেন কঙ্গনা।
পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কে আপত্তিজনক মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ উঠেছেন কঙ্গনার বিরুদ্ধে। কখনও বাংলাকে 'কাশ্মীরের' সঙ্গে তুলনা আবার কখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'রাবণ' বলে কটাক্ষ করেন কঙ্গনা। ভোটের ফলাফলের পরেই একের পর এক টুইটে বিদ্ধ করেন কঙ্গনা। আবার মমতা ব্যানার্জির জয়লাভের পরও তাকে খোঁচা দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট করেছেন কঙ্গনা। কঙ্গনার টুইটের ভিত্তিতেই কলকাতা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন এক আইনজীবী। বাংলার বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা ভারসাম্য নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে কঙ্গনার বিরুদ্ধে।
অভিনেত্রীর টুইটার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করা হলেও এবার ইনস্টাগ্রামে সরব হয়েছেন কঙ্গনা । ফের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কঙ্গনা। ইনস্টাগ্রামে কঙ্গনা লিখেছেন, একাধিক মামলা, এফআইআর করে আমায় ভয় দেখানো যাবে না। বাংলায় একের পর এক খুনের জন্য কোনও পদক্ষেপ করতে পারে নি কেন্দ্র। লাখ লাখ হিন্দুরা বাংলা থেকে পালিয়ে আসছে। মৃত্যুমিছিল আটকানো নিয়ে আমি সরব হলে মমতার সেনারা আমার মুখবন্ধ করার চেষ্টা করছে। তারপরেই মমতা রক্তপিপাসু বলে কটাক্ষ করেছেন কঙ্গনা রানাউত। ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে এই পোস্ট। যা নিয়ে উত্তাল রাজনীতি। অন্যদিকে ভুঁয়ো খবর ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ২ যুবককে।
কয়েকদিন আগেই টুইটারে কঙ্গনা লিখেছিলেন, 'বাংলাদেশী আর রোহিঙ্গারাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসল শক্তি। পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুরা আর সংখ্যাগরিষ্ঠ নেই। আর বাঙালি মুসলিমরা হল ভারতবর্ষের মধ্যে সবচেয়ে গরীব। বাংলায় একটা কাশ্মীর তৈরি হচ্ছে।'এখানেই থামেননি কঙ্গনা। আরামবাগে বিজেপির পার্টি অফিসে আগুন লাগানোর খবরেও রিটুইট করে কঙ্গনা লিখেছিলেন, আগামী দিনে বাংলায় রক্তস্নান হবে। কখনও আবার অমিত শাহকে টুইটারে ট্যাগ করে বাংলায় বিজেপি কর্মীদের বাঁচাবার আবেদন জানিয়েছেন কঙ্গনা রানাউত। বাংলার মানুষদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টিকারী কঙ্গনার টুইটার ইস্যুর পর ইনস্টা অ্যাকাউন্টকে হাতিয়ার করে বিতর্ক এখন তুঙ্গে।