সংক্ষিপ্ত

কিশোর কুমার, যার গানের সুরে বিশ্বভুবনে সকলের মুগ্ধ। তিনি যে কতটা মজার মানুষ ছিলেন তা অনেকেই জানেন। বিশেষত যারা তারা সান্নিধ্যে আসার পরম সৌভাগ্য পেয়েছেন তাদের কলমে উঠে এসেছে গীতিকার, সুরকার, অভিনেতা, চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকারের বর্ণময় জীবনের কাহিনি। চলচ্চিত্রের সর্বশ্রেষ্ঠ গায়ক কিশোর কুমারের  জন্মবার্ষিকীতে ফিরে দেখা কিংবদন্তির জীবনের অজানা তথ্য়।
 

ভার্সেটাইল কিংবদন্তি গায়ক কিশোর কুমার। নামের সঙ্গে মানুষটিও যেন একইরকম। প্রথাগত সঙ্গীত শিক্ষা কোনওদিনই নেননি কিশোর কুমার। গায়কসত্ত্বার পাশাপাশি গীতিকার, সুরকার, অভিনেতা, চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার এবং রেকর্ড প্রযোজক হিসেবেও তার খ্যাতি রয়েছে। চলচ্চিত্রের সর্বশ্রেষ্ঠ গায়ক কিশোর কুমারের  জন্মবার্ষিকীতে ফিরে দেখা কিংবদন্তির জীবনের অজানা তথ্য়। কিশোর কুমার, যার গানের সুরে বিশ্বভুবনে সকলের মুগ্ধ। তিনি যে কতটা মজার মানুষ ছিলেন তা অনেকেই জানেন। বিশেষত যারা তারা সান্নিধ্যে আসার পরম সৌভাগ্য পেয়েছেন তাদের কলমে উঠে এসেছে গীতিকার, সুরকার, অভিনেতা, চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকারের বর্ণময় জীবনের কাহিনি। ১৯২৯, ৪ আগস্ট জন্ম হয় কিশোর কুমারের। আইনজীবী কুঞ্জলাল গঙ্গোপাধ্যায় এবং তার স্ত্রী গৌরীদেবীর ছোট ছেলে ছিলেন কিশোর কুমার।


গায়কসত্ত্বার পাশাপাশি গীতিকার, সুরকার, অভিনেতা, চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার কিশোরের ব্যক্তিগত জীবনটাও বর্ণময় ছিল। একবার নয় ৪ বার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন কিশোর কুমার। কিন্তু ৪ বার বিয়ের পরও সুখী হতে পারেননি কিশোর কুমার। ১৯৫০ সালে সত্যজিৎ রায়ের ভাইঝি রুমা গুহ ঠাকুরতার সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন কিশোর কুমার। রুমা নিজেও ছিলেন একজন অভিনেত্রী তথা গায়িকা। এছাড়া সমাজকর্মী হিসেবেও তার পরিচিতি ছিল। ১৯৫২ সালে  কিশোর কুমার এবং রুমার কোলে আসে অমিত কুমার। এবং কিশোর চেয়েছিলেন রুমা বাড়িতে থেকেই ছেলের দেখাশোনা করুন। কিন্তু রুমা নিজের স্টারডমকে ছাড়তে চাননি। সেখান থেকে তাদের সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে।  বিয়ের ৮ বছরের মাথায় গিয়েই কিশোর ও রুমার বিবাহবিচ্ছেদ হয়।

 

 

সূত্রের খবর, রুমার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের আগেই নাকি বলি অভিনেত্রী মধুবালার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে যান কিশোর কুমার। ১৯৬০ সালে বিয়েও করেন মধুবালাকে। এবং মধুবালাকে বিয়ের পরও দাম্পত্য সুখের হয়নি কিশোরের। বিয়ের একমাস পরে হঠাৎই গুরুতর অসুস্থ হয়েই নিজের বাংলোয় ফিরে যান মধুবালা। মধুবালার হৃদপিন্ডের সমস্যায় এতটাই বাড়তে থাকে যে তার  বাঁচার আশা কমে যায়। ১৯৬৯ সালে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে প্রয়াত হন মধুবালা। এমনকি এও শোনা যায়, তার সঙ্গে শেষের দিকে আর কোনও যোগাযোগ রাখেননি কিশোর কুমার।

 

 

মধুবালার মৃত্যুর বেশ কয়েক বছর পরে বলি অভিনেত্রী যোগিতা বালিকে ১৯৭৬ সালে বিয়ে করেন কিশোর কুমার।  কিন্তু সেই বিয়েও টেকেনি কিশোরের।  বিয়ের ২ বছরের মাথাতেই তাদের সম্পর্ক ভেঙে যায়। বিয়ের ঠিক পরই খোয়াব ছবির শুটিংয়ে মিঠুনের সঙ্গে আলাপ হয় যোগিতার। এবং তখনই মিঠুনের প্রেমে পড়ে যান যোগিতা। এবং তারপর থেকেই কিশোর কুমারের থেকে দূরে সরে আসেন যোগিতা। এবং একসময় মিঠুনের সঙ্গে কিশোর কুমারের বিরোধ চরমে ওঠে। মিঠুনের জন্য নাকি গান গাইতেও অস্বীকার করেছিলেন কিশোর কুমার। এরপর কিশোরের জীবনে আসেন লীনা। বিয়ের ১১ মাসের মধ্যে প্রথম স্বামীকে হারিয়েছিলেন লীনা। তারপর কাজের সুবাদেই আলাপ হয় কিশোরের সঙ্গে। ধীরে ধীরে  একে অপরের সঙ্গে মন বিনিময়ও হয়ে যায়। কিন্তু ২১ বছরের বড় কিশোর তার উপর ৩ বার বিয়ের দরুণ মত ছিল না লীনার পরিবারের। তারপর যখন লীনার পরিবার বিয়েতে মত দেন, তখনও কিশোর কুমারের সঙ্গে যোগিতা বালির খাতায় কলমে বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়নি। ১৯৮০ সালে বিবাহবিচ্ছেদের পর লীনাকে বিয়ে করেন কিশোর কুমার। বিয়ের ২ বছর পর জন্ম হয় সুমিত কুমারের। সুমিতের বয়স যখন ৫, ১৯৮৭ সালে ১৩ অক্টোবর মারা যান কিশোর কুমার। জীবনের এই কঠিন পরিস্থিতিতে লীনার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন অমিত কুমার। তিনিই ছায়ার মতো পাশে ছিলেন সুমিতের।