সংক্ষিপ্ত

  • ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে মিঠুন চক্রবর্তীর রিসর্ট  
  • তামিলনাড়ুর নীলগিরির কাছে অবস্থিত ৮০০-র বেশি নির্মাণ ভেঙে ফেলা হবে 
  • নীলগিরির হাতি করিডর নিয়ে রায় বহাল রাখল দেশের শীর্ষ আদালত
  • একই জায়গায় অবস্থিত একাধিক তারকার রিসর্ট

ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে মিঠুন চক্রবর্তীর রিসর্ট। তামিলনাড়ুর নীলগিরির হাতি করিডর নিয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্টের রায়ই আজ বহাল রাখল দেশের শীর্ষ আদালত। ২০১১ সালে মাদ্রাজ হাইকোর্টে তামিলনাড়ুর নীলগিরি জেলার মুদুমালাই জাতীয় উদ্যানের সংলগ্ন এলাকায় তৈরি সমস্ত রিসর্ট ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যার জন্য হাইকোর্ট তামিলনাড়ু সরকারকে ক্ষমতা দেয়। এই এলাকা হাতি চলাচলের জন্য চিহ্নিত করা হবে। 

যার কারণ মিছুন চক্রবর্তী সহ অবস্থিত একাধিক তারকাদের রিসর্ট ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। আজ সেই রায় ঘোষণা হল। এ রঙ্গরাজন ১৯৯৬ সালে প্রথমবার আদলতে দাবি করেন এই রিসর্টের কারণে নীলগিরির ওই এলাকার বাস্তুতন্ত্রে দারুণ ক্ষতি হচ্ছে। দীর্ঘ বছর পর ২০০৭ সালে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জনস্বার্থে মামলা দায়ের করে। আবেদনকারীদের দাবি, হাকি করিডরের গা ঘেষে তৈরি হয়েছে এই রিসর্টগুলি। যার ফলে ক্রমাগত বাড়ছে মানুষের ভিড়। 

আরও পড়ুনঃসৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় থেকে কোয়েল, রাজ, সন্দীপ রায়, কোভিডকে জয় করেছেন যাঁরা

আরও পড়ুনঃঋতুপর্ণ ঘোষের 'উৎসব' থেকেই জন্ম 'উৎসবের পরে', লকডাউনেই তৈরি হল ওয়েব সিরিজ

২০১১ সালে ভেঙে ফেলার রায় দেওয়া হল মিঠুন সহ ৩২ জন আবেদনকারী এই রায়ের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। মিঠুনের আবেদন অনুযায়ী, তাঁর রিসর্টের জন্য একাধিক আদিবাসীর জীবনযাপন চলে। অন্যান্যদের বক্তব্য, সমস্ত আইনি নিয়মাবলী মেনেই এই রিসর্ট তৈরি করা হয়েছে। আজ সুপ্রিম কোর্টের দুই সদস্যের বেঞ্চ জানায়, আবেদকারীদের বক্তব্য শোনার জন্য তারা একটি তিন সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দিচ্ছেন যার নেতৃত্বে থাকবেন মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি। কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে রিসর্টগুলি ভাঙার পর অন্য কোথাও পুনর্নিমাণ হবে কি না।