সংক্ষিপ্ত
পণ্ডিত শিবকুমার শর্মা ভারতীয় সঙ্গীতের প্রথম সারির ব্যক্তিত্ব। সঙ্গীত রয়িতা ও সন্তুর বাদক হিসেবে তিনি বিশ্বের আসরে ভারতের নাম ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর জন্ম জম্মু ও কাশ্মীরে। ১৯৩৮ সালের ১৩ জানুয়ারি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম।
থেমে গেল সন্তুরের ঝঙ্কার। প্রয়াত পণ্ডিত শিবকুমার শর্মা। ৮৪ বছর বয়সে মুম্বইতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। গত ৬ মাস ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। ডায়ালিসিস চলছিল। হৃদযন্ত্র থেমে যাওয়ায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েন চিকিৎসকরা।
পণ্ডিত শিবকুমার শর্মা ভারতীয় সঙ্গীতের প্রথম সারির ব্যক্তিত্ব। সঙ্গীত রয়িতা ও সন্তুর বাদক হিসেবে তিনি বিশ্বের আসরে ভারতের নাম ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর জন্ম জম্মু ও কাশ্মীরে। ১৯৩৮ সালের ১৩ জানুয়ারি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম। পরে তিনি চলে আসেন মুম্বইতে। গোটা বিশ্বে তিনি একাধিক সঙ্গীতের অনুষ্ঠান করেছেন। কিন্তু তাঁর কর্মক্ষেত্র ছিল মুম্বই। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ স্ত্রী মনোরমা ও পুত্র রাহুল শর্মা। রাহুলও বাবার মতই সঙ্গীত শিল্পী।
শিবকুমার শর্মীর হাত ধরেই সন্তুর গুরুত্ব পেয়েছে ভারতীয় রাগসঙ্গীতে। আগে উত্তর ভারতের শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে তেমনভাবে ব্যবহার করা হত না সন্তুর। কিন্তু শিবকুমার শর্মার হাত ধরেই বাদ্যযন্ত্র হিসেবে সন্তুর বিশ্বের জনপ্রিয়তা লাভ করে। সন্তুর নিয়ে তিনি একাধিক পরীক্ষা করেছিলেন। তাতে রীতিমত সফলও হয়েছিলেন তিনি।
১৯৫৫ সালে শিবকুমার শর্মা প্রথম মুম্বইয়ে স্টেজশো করেন। প্রথম অনুষ্ঠানেই শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে যান তিনি। ১৯৫৬ সালে ঝনক ঝনক পায়েল বাজে ছবির আবহ সঙ্গীত রচনা করেছিলেন তিনি। ১৯৬০ সালে প্রথম নিজের অ্যালবাম রেকর্ড করেন তিনি। ১৯৬৭ সাল থেকেই হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়ার সঙ্গে কাজ করছেন তিনি। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন গিটারিস্ট ব্রিজ ভূষণ কাবরা। চাঁদনী ও দার ছবির সঙ্গীতও তৈরি করেছিলেন তাঁরা। শিবকুমার শর্মা ১৯৯১ সালে পদ্মশ্রী ও ২০০১ সালে পদ্মভূষণ পুরস্কার পেয়েছিলেন।
শিবকুমার শর্মার প্রায়ানে ভেঙে গেল শিব-হরির যুগলবন্দী। একজনের সন্তুর আর অন্যজনের বাঁশির সুর দীর্ঘ দিন ধরেই আচ্ছন্ন করে রেখেছিল শ্রোতাদের। দেশকালের গণ্ডি ছাড়িয়ে এক অন্য পরিবেশ তৈরি করেছিল বিশ্ব আঙিনায়। কিন্তু শিবকুমারের প্রয়াণে তা স্তব্দ হয়ে যায়। শিবকুমার শর্মা বলিউডের মূল ধারার ছবিতেও কাজ করেছেন । যারমধ্যে অন্যতম হল সিলসিয়া। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সঙ্গীত মহলে।