সংক্ষিপ্ত
বিবিসি জানিয়েছে, জনসন বৃহস্পতিবারই কনজারভেটিভ নেতার পদ থেকে পদত্যাগ করবেন। ইউকে মিডিয়া বলেছে যে জনসন অবশেষে সরকারী মন্ত্রীদের পদত্যাগের মধ্যে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা হিসাবে পদত্যাগ করার জন্য চাপের মুখে পড়েন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে। বিশেষ বিষয় হলো তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনবে তার নিজের দল। বর্তমানে ব্রিটেনের কনজারভেটিভ পার্টি ক্ষমতায় রয়েছে এবং এই দলের নেতা বরিস জনসন। সূত্রের খবর বরিস জনসন কনজারভেটিভ পার্টির নেতার পদ থেকে সরে যেতে রাজি হয়েছেন। বৃহস্পতিবার এই খবর জানিয়েছে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট। তবে নতুন নেতা নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত জনসন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
বিবিসি জানিয়েছে, জনসন বৃহস্পতিবারই কনজারভেটিভ নেতার পদ থেকে পদত্যাগ করবেন। ইউকে মিডিয়া বলেছে যে জনসন অবশেষে সরকারী মন্ত্রীদের পদত্যাগের মধ্যে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা হিসাবে পদত্যাগ করার জন্য চাপের মুখে পড়েন। এ প্রসঙ্গে দলটি বলছে, বরিস জনসনের নেতৃত্বের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিতর্ক নিয়ে আলোচনায় থাকা জনসনের বিরুদ্ধে তার দলের কিছু এমপি চিঠি লিখেছেন, যেখানে তার নেতৃত্বের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
পার্টির অন্যতম মুখপাত্র গ্রাহাম ব্র্যাডি বলেছেন যে তিনি জনসনের বিরুদ্ধে অনাস্থা চেয়ে আইন প্রণেতাদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি চিঠি পেয়েছেন। এই বিষয়ে নিয়ম হল যে ৩৫৯ জন কনজারভেটিভ এমপির মধ্যে ভোটে বরিস হেরে গেলে, তিনি কনজারভেটিভ পার্টির নেতা এবং প্রধানমন্ত্রীর পদ উভয়ই হারাবেন, তবে তিনি যদি জয়ী হন, তাহলে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে অব্যাহত থাকবেন। তাঁর মেয়াদ বাড়ানো হবে আরো একটি বছর।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন কোভিডের সময় যখন লকডাউন জারি করা হয়েছিল তখন সরকারী ভবনে নিয়ম লঙ্ঘন সহ অনেক ক্ষেত্রে প্রশ্নের মুখে পড়েছেন। জনসন পরে প্রকাশ্যে পদত্যাগের ঘোষণা করবেন বলে খবর। ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের একজন মুখপাত্র বলেছেন: প্রধানমন্ত্রী আজ দেশের কাছে একটি বিবৃতি দেবেন। তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগও উঠেছে যে, যখন করোনা শুরু হয়েছিল, তখন লকডাউনের মধ্যেও তিনি তার জন্মদিনের পার্টি উদযাপন করেছিলেন। এমন এক সময়ে যখন বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ব্রিটেনও করোনায় মারাত্মকভাবে আক্রান্ত, তখন জন্মদিনের পার্টি উদযাপনের জন্য তাকে বড়সড় সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল।
বরিস জনসনের পদত্যাগ নিয়ে জলঘোলার মধ্যেই কনজারভেটিভ পার্টির নতুন পদাধিকারের নাম সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে ঋষি সুনক এই দায়িত্ব নেবেন। জনসন ২০১৯ সালের জুলাই মাসে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন। পাঁচ মাস পরে, কনজারভেটিভ পার্টি সাধারণ নির্বাচনে ঐতিহাসিক ল্যান্ডস্লাইড জয় তৈরি করে।