সংক্ষিপ্ত
বোয়িং ৭৭৭ বিমানটি বড়দিনে লন্ডনের গ্যাটইউক থেকে কোস্টারিকার সান জোসে যাওয়ার সময় এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয়েছিল। বিমানটি ৩৫ হাজার ফুট উঁচু দিয়ে যাচ্ছিল।
এক ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনার (Plane Accident) কবলে পড়লেও কোনও রকমে রেহাই পেলেন যাত্রীরা। লন্ডন থেকে প্রায় ২০০ জন ভ্রমণকারী নিয়ে উড়েছিল ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের (British Airways) বিমানটি। বিমানটি যখন ৩৫ হাজার ফুট ওপর দিয়ে যাচ্ছিল সেই সময় ১ হাজার ফুট ওপর দিয়ে যাওয়া একটি বিমান থেকে বরফের টুকরো উড়ে এসে পড়। তাতে ব্রিটিশ এয়ার ওজেটের বিমানের উইন্ডস্ক্রিনের যথেষ্ট ক্ষতি হয়।
বোয়িং ৭৭৭ বিমানটি বড়দিনে লন্ডনের গ্যাটইউক থেকে কোস্টারিকার সান জোসে যাওয়ার সময় এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয়েছিল। বিমানটি ৩৫ হাজার ফুট উঁচু দিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময়ই আরও একটি বিমান তারও ১০০০ হাজার ফুট উঁচু দিয়ে উড়ছিল। সেটি থেকেই বরফের একটি টুকরো ছিটকে এসে ব্রিটিশ এয়ার ওয়েজের বিমানকের ইউন্ডস্ক্রিনে ধাক্কা মারে। তারে ২ ইঞ্চি মোটা উইন্ডস্ক্রিনে ফাটল দেখা দেয়। এই উইন্ডস্ক্রিন বুলেটপ্রুফ। এটি প্রবল শক্তি সহ্য করতে পারে- এমনভাবেই তৈরি হয়। কিন্তু মাঝ আকাশে অন্য বিমান থেকে ছিটকে পড়া বরফের আঘাত সহ্য করতে পারেনি।
যাইহোক বিমানটি নিরাপদেই সানজোসে অবতরণ করে। বিমান থেকে ২০০ যাত্রীকেই নিরাপদে ও অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের কথায় বিমানটি বড় দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। সেখান খেকে উদ্ধার হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই ছিল না। বরাতজোরে বেঁচে গেছেন বিমানের যাত্রীরা।
বিমানের অধিকাংশ যাত্রী ছুটি কাটানোর উদ্দেশ্য বিমানে চড়ে হয় বেড়াতে যাচ্ছিলেন। এক যাত্রী জানিয়েছেন, স্বামীর সঙ্গে তিনি তাঁর পরিবারের কাছে ছুটি কাটাতে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ই এই বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। কিন্তু এই দুর্ঘটনার জন্য বিমানটি প্রায় ৪ ঘণ্টা দেরিতে চলছে। মাঝ আকাশে দুর্ঘটনার পরই বিমানটি জরুরি অবতরণ করে। কিন্তু প্রায় ২০০ জন যাত্রীকে বিনা নোটিশে দীর্ঘ সময় বসিয়ে রাখা হয় বিমান বন্দরে। যাত্রীরা অন্য বিমানে করে গন্ত্যে পৌঁছানোর পরেও তাদের দেরির কারণ জানান হয়নি। যা নিয়ে রীতিমত ক্ষুব্ধ যাত্রীরা।
সূত্রের খবর যাত্রীদের মূল নির্ধারিত সময়ের ৫০ ঘণ্টা পরে বিমানটি পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছিল। মিচেল নামে এক যাত্রী জানিয়েছেন তাঁদের কিছু জানান হয়নি। কিন্তু বিমানে উঠে তারা দেখেছিলেন বিমানের উইন্ডস্ক্রিন ভাঙা । বিমানের পিছনের অবস্থাও ছিল বিপজ্জনক। যা নিয়ে তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। মিচেল আরও জানিয়েছেন এরপর তারা বিমানে চড়বেন কিনা তা নিয়েও রয়েছে সংশয়। কারণ যাত্রীদের নিরাপত্তার দিকে বিমান কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব দিচ্ছে না বলও অভিযোগ করেন তিনি।
যদিও ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় জন্য যাত্রীদের কাছ থেকে ক্ষমতা চাওয়া হয়েছে।যেসব যাত্রী বিমানের দেরির কারণে বিমানে যাত্রা করেননি তাদেরও সমস্ত অর্থ ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ৫২০ পাউন্ড ফেরত দেওয়া হবে।