সংক্ষিপ্ত

ক্যালিফোর্নিয়ায় অধ্যয়নের সময় ঋষির সঙ্গে দেখা হয় তার স্ত্রী অক্ষতার।  তারপর গড়ে ওঠে সখ্যতা।সখ্যতা থেকে প্রেম। তারপর বিয়ে।  সুনাকের জীবনে রাজনীতি ছাড়াও যাদের গুরুত্ব সবথেকে বেশি তারা  হলেন  সুনাকের স্ত্রী ও তাদের  দুই মেয়ে।  

রাজনীতিতে আসার আগে থেকেই  সুনাক তার অর্থনীতির ক্যারিয়ারে ছিলেন বেশ সফল। তিনিই প্রথম যিনি বলেন যে ব্রিটেনে  বিগত বেশ কিছু দশক ধরে যে মুদ্রা স্ফীতি চলছে কেউ সেই দিকে ঠিক মতো নজর দিচ্ছেন না।  এইরকম স্টেটমেন্ট দেওয়ার কারণে তাকে পরবর্তীকালে অনেক উপহাসের স্বীকারও হতে হয়।  কিন্তু  ঋষির রাজনীতিতে আসার মূল কারণ হলো  তার বন্ধুরা।  ২১ বছর বয়সী সুনাক যখন প্রাইভেট স্কুল ও অক্সফোর্ডের গন্ডি পেরিয়ে প্রথম কর্মজীবনে পা রাখেন। তখন তার সমস্ত  স্তরের মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল । তিনি নিজে একটি বক্তৃতায় বলেন , যে তার সব বন্ধুরাই  যে অভিজাত পরিবারের ছিল এমন না ।  শ্রমিক শ্রেণীর মানুষজনদের সঙ্গেও গড়ে উঠেছিল তার সমান সখ্যতা। ফলে তার জীবনের অভিজ্ঞতা তাকে শেখায় যে বিশদ - ভিত্তিক নীতিটি ভীষণ বিক্রান্তিকর একটি নীতি।  

জীবনের নানা উত্থান পতনের  সুনাক  অদ্ভুতভাবে নিজেকে ঠান্ডা রাখতে পারেন। ব্রেক্সিটের প্রথম দিককার সমর্থক শুনাক ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ব্রিটেনের রাজকোষের চ্যান্সেলর হিসাবে নিযুক্ত হন। কোভিড  মহামারীর সময় যখন বিশ্বের অর্থনীতি পুরোপুরি ধ্বসে গেলো এক ধাক্কায় তখন ব্রিটেনের অর্থনীতিকে শক্ত হাতে সামলেছিলেন সুনাক। জনগণের উদেশ্যে তিনি তৈরী করেছিলেন নানা আর্থিক সহায়তা প্যাকেজ। যা পরবর্তীকালে তিনি জোর দিয়ে বলেন যে সেইসময় তা একদম সঠিক অর্থনৈতিক  পরিকল্পনা ছিল। প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে আসার পর তিনি ব্রিটেনের জনগণকে প্রতিশ্রুতি দেন যে  , যে অর্থ তিনি একসময় জনগণের উদেশ্যে বিলি করেছেন সেই অর্থ অবিলম্বে কোষাগারে  ফিরিয়ে আনার নীতি গ্রহণ করবেন তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর। 

ভারতে ঋষি সুনাক  পরিচিত তার স্ত্রী অক্ষতা  মূর্তির মাধ্যমে। অক্ষতা হলেন ভারতীয় বিজনেস টাইফুন তথা তথ্য-প্রযুক্তি গ্রূপ ইনফোসিস এর সহ  প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তির কন্যা। ক্যালিফোর্নিয়ায় অধ্যয়নের সময় ঋষির সঙ্গে দেখা হয় তার।  তারপর গড়ে ওঠে সখ্যতা।সখ্যতা থেকে প্রেম। তারপর বিয়ে।  সুনাকের জীবনে রাজনীতি ছাড়াও যাদের গুরুত্ব সবথেকে বেশি তারা  হলেন  সুনাকের স্ত্রী ও তাদের  দুই মেয়ে।  সম্প্রতি একটি  ফটোজেনিক সারমেয় এখন তাদের সুখী পরিবারে নতুন সংযোজন। 

আরও পড়ুন  এই তিনটি কারণেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব ছাড়লেন লিজ ট্রাস? মাত্র ৪৫ দিনের প্রধান তিনি

আরও পড়ুন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার থেকে পদত্যাগ লিজ ট্রাসের