সংক্ষিপ্ত
বরিস জনসন নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে বার্তা দিয়ে বলেছেন, ইউক্রেনের ভয়াবহ ঘটনা থেকে তিনি আতঙ্কিত। পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করার জন্য ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও কথা বলেছেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের (Russia-Ukraine Crisis) মধ্যেই হুঁশিয়ারি দিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (British PM Boris Johnson)। তিনি সরকারি নিশানা করেন রাশিয়াকে (Russia)। বরিস জনসন বলেন, 'ইউক্রেনে (Ukraine) রাশিয়ার বিনা প্ররোচনায় হামলার জন্য ব্রিটেন ও তার মিত্রশক্তিরা সিদ্ধান্তমূলক প্রতিক্রিয়া জানাবে।' নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে যুদ্ধ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
বরিস জনসন নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে বার্তা দিয়ে বলেছেন, ইউক্রেনের ভয়াবহ ঘটনা থেকে তিনি আতঙ্কিত। পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করার জন্য ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও কথা বলেছেন। একই সঙ্গে ব্রিটেন ও ন্যাটোর দেশগুলি যে ইউক্রেনের পাশে থাকবে তাও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এদিন পূর্ব ইউক্রেনের বিরুদ্ধে হামলার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পরই যুদ্ধের দামামা বেজে ওঠে। তারপরই বরিস জনসন সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে ইউক্রেনের পাশে থাকার বার্তা দেন। একই সঙ্গে তিনি রাশিয়াকেও হুঁশিয়ারি দেন।
অন্যদিকে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত সের্গেই কিসলিয়্যাস এদিন যুদ্ধের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসংঘে সওয়াল করেছেন। তিনি বলেছেন যুদ্ধ থামানোর পুরো দায়িত্ব রাষ্ট্র সংঘের। তিনি অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করার আর্জি জানিয়েছেন।
তবে পূর্ব ইউরোপের ডনবাস অঞ্চলে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গত প্রায় এক মাস ধরে রাশিয়া যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ইউক্রেনকে তিন দিক দিয়ে সম্পূর্ণরূপে ঘিরে রেখেছিল। ন্যাটোর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বেলারুশের সঙ্গে ইউক্রেন সীমান্তে সেনা মহড়াও চালিয়েছিল। যদিও যুদ্ধ থেকে পুতিনকে নিরস্ত্র করতে উদ্যোগ নিয়েছিল ফ্রান্স। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আলোচনার বসানোরও ব্যবস্থা হয়েছিল।
যদিও আগেই মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এই বৃহস্পতিবার ইউরোপের কোনও একটি স্থানে বৈঠক করবেন বলেও সূত্রের খবর ছিল। আর সেই পর্যন্ত রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করবে না বলেও জানিয়ে রুশ প্রশাসন। মার্কিন এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কূটনৈতিক আলোচনার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সর্বদা তৈরি রয়েছে। যুদ্ধ এড়াতে কূটনীতির ওপরই ভরসা রাখছেন জো বাইডেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে রাশিয়া এমন সময় বৈঠকের জন্য রাজি হয়েছে, যখন সামরিক মহড়া প্রায় শেষের দিকে। কারণ রবিবারই ইউক্রেনের প্রতিবেশী বেলারুশে সেনা মহড়া শেষ হয়েছে। এই মহড়ায় প্রায় ৩০ হাজার রুশ সেনা অংশ নিয়েছিল। শনিবার সেখানে পারমাণবিক অস্ত্রের মহড়াও হয়েছিল। তবে এখনও পর্যন্ত ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দেড় লক্ষ রাশিয়ান সেনা মোতায়েন রয়েছে। সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় ট্যাঙ্ক, যুদ্ধবিমান রেখেছে রাশিয়া। গোটা এলাকায় যুদ্ধের যুদ্ধের সাজ সাজ রব তৈরি হয়েছে। যা দেখে উৎকণ্ঠা বাড়ছে ইউক্রেনের।
'ওমিক্রন নীরব ঘাতক' বললেন দেশের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা
'ডিএম কাকু'- বলে অফিসে ঢুকে নালিশ ৭ বছরের মেয়ের, অবাক জেলা শাসক
নবাব মালিক ইস্যুতে মমতাকে ফোন পাওয়ারের, জানতে চাইলেন 'কী করতে হবে'