সংক্ষিপ্ত


বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে জানান হয়েছে, পাসপোর্টগুলি অভিবাসন চেন ইনগুলির মাধ্যমে যাতায়াতকে আরও অনেক সহজ করবে। যা আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার মানগুলির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। নতুন এই পাসপোর্টগুলির জ্যাকেটগুলিতে এনকো় করা গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা তথ্যসহ একটি ইলেকট্রনিক চিপ থাকবে বলেও আশা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। 


কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman) ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের জন্য বাজেট (Union Budget 2022-23) পেশ করার সময় জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার চলতি অর্থবর্ষেই ই-পাসপোর্ট (E-Passport) চালু করেবে। বাজেট বক্তৃতায় নির্মলা জানিয়েছেন দেশের নাগরিকদের সুবিধের জন্যই ই-পাসপোর্ট চালু করা হবে। সম্প্রতি বিদেশ মন্ত্রকের সচিব সঞ্জয় ভট্টাচার্যও জানিয়েছেন ভারত খুব তাড়াতাড়ি ই-পাসপোর্ট চালু করবে। সেই পাসপোর্টে রেডিও ফ্রিয়োয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশ বা বায়েমেট্রিক্স ব্যবহার করা হবে। 

বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে জানান হয়েছে, পাসপোর্টগুলি অভিবাসন চেন ইনগুলির মাধ্যমে যাতায়াতকে আরও অনেক সহজ করবে। যা আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার মানগুলির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। নতুন এই পাসপোর্টগুলির জ্যাকেটগুলিতে এনকো় করা গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা তথ্যসহ একটি ইলেকট্রনিক চিপ থাকবে বলেও আশা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। 

কিন্তু এই ই-পাসপোর্ট সাধারণ পাসপোর্টের থেকে অনেকটাই আলাদাঃ 
যদিও একটি ই-পাসপোর্ট দেখতে সাধারণ পাসপোর্টের মতেই এটিতে সাধারণত একটি ছোট ইলেকট্রনিক চিপ থাকে। যা ড্রাইভিং লাইসেন্সেও থাকে। নাম, জন্ম তারিখ, ঠিকানা, বাবা ও মায়ের নামসহ অন্যান্য বিবরণ পাসপোর্টে নথিভুক্ত করার সময় তা মাইক্রোচিপে সংরক্ষণ করা হবে। এই জাতীয় পাসপোর্ট অভিবাসন কাউন্টারে দ্রুত ভ্রমণকারীদের বিবরণ যাচাই করতে ও বিমানবন্দরে ভিড়  কমাতে সাহায্য করবে। জাল পার্সপোর্টের সংখ্যাও ই-পাসপোর্ট অনেকটাই কমিয়ে দেবে বলেও আশা করা হচ্ছে। ইলেকট্রনিক পাসপোর্টগুলির এই মুহূর্তে অপটিক্যাল রিডার দিয়ে স্ক্যান করা হয়। কিন্তু ই-পাসপোর্টের তার পরিবর্তে একটি চিপ রিডার দিয়ে স্ক্যান করা হবে। 

ই-পাসপোর্টের এই ঘোষণা ভ্রমণ ও পর্যটন শিল্পকে আরও বেশি প্রভাবিত করবে বলেও আশা করা হচ্ছে। কারণ ইতিমধ্যে বিশ্বের অনেক দেশেই ইপাসপোর্ট চালু হয়ে গেছে।

ই-পাসপোর্ট নিয়ে কেন্দ্রের এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন পর্যটন সংস্থাগুসি। বলা হয়েছে, এই উদ্যোগ পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি অভিবাসন অনেক বেশি সহজ হয়ে যাবে। তেমনই বলেছেন ইন্ডিগোর গ্রুপ সিইও ও প্রতিষ্ঠাতা অলোক বাজপাই। অন্যদিকে মেকমাই ট্রিপের প্রতিষ্ঠাতা রিকান্ত পিটি বলেন এমবেডেড চিপসহ  ই-পাসপোর্ট আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের সুবিধে করে দেবে। পাশাপাশি দেশের নাগরিকদের মধ্যেও উৎসহ বাড়ছে।