সংক্ষিপ্ত

 কোভিড আবহে বিভিন্ন কোম্পানিগুলি কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করানো মডেল শুরু করে।   ২০২২ সালের বাজেটে কর গণনার ক্ষেত্রে, স্টার্ডাড ডিডাকশন ছাড়াও অতিরিক্ত  ছাড়ের আশায় রয়েছে ওয়ার্ক ফর্ম হোম মডেলের কর্মীরা।  

 কোভিড আবহে বিভিন্ন কোম্পানিগুলি কর্মীদের বাড়ি থেকে (Work From Home) কাজ করানো মডেল শুরু করে। ওয়ার্ক ফর্ম হোম এই মডেলগুলিকেই কর্পোরেটগুলি ভবিষ্যতের হাইব্রিড মডেল হিসেবে মনে করছে। অর্থাৎ কাজের এমন এক পরিবেশ, যেখানে অফিস কিংবা বাড়ি সব জায়গা থেকেই কাজ করার জন্য উপযুক্ত। এরফলে কর্মচারীদের কাজের জায়গা বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে নমনীয়তা থাকার সুবিধাও রয়েছে।  ওয়ার্ক ফর্ম হোম মডেলে নিজের শহর থেকে যাতায়াতের সময় এবং খরচ কমিয়ে কাজ করা। তবে  ওয়ার্ক ফর্ম হোম মডেলে মানিয়ে নেওয়ার মতো কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতেও হয়।

খরচের দিক থেকে বলতে গেলে, কর্মীদের ইন্টারনেট সংযোগ বাড়ানোর জন্য বিনিয়োগ করতে হয়। মোবাইল কিংবা টেলিফোনে বেশি খরচ করতে হয়। অফিসের দায়িত্ব পালনের জন্য বাড়িতে বিশেষ স্থানে ওয়ার্ক স্টেশনের ব্যবস্থা করতে হয়। বিদ্যুতের খরচ বেশি হয়। কোভিড পরিস্থিতিতে একাধিক সদস্যকেই বাড়ি থেকে কাজ করতে হচ্ছে। পাশাপাশি বাড়ি থেকে বাচ্চাদের জন্য অনলাইন ক্লাসও চলছে। যার ফলে দেখা যাচ্ছে, বেতনভোগী শ্রেণিকে এই পরিস্থিতি সামাল দিতে বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে। অর্থাৎ  ওয়ার্ক ফর্ম হোম মডেলে কাজের জন্য টেবিল-চেয়ারের মতো স্থায়ী খরচের পাশাপাশি কর্মচারীদের কিছু চলমান খরচও বাড়ছে। তবে কর্মীদের এই চলমান খরচ নির্দিষ্ট পরিমাপ যোগ্য নয়। নিয়োগকর্তা থেকে সেই মতো ভাতাও দাবি করার মতো সুযোগ আপাতত নেই। এই সকল বিষয়গুলির কথা মাথায় রেখেই ২০২২ সালের বাজেটে কর গণনার ক্ষেত্রে, স্টার্ডাড ডিডাকশন ছাড়াও অতিরিক্ত  ছাড়ের আশায় রয়েছে ওয়ার্ক ফর্ম হোম মডেলের কর্মীরা। এই স্টার্ডাড ডিডাকশন ২০১৮ সালের বাজেটে ফিরিয়ে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষ থেকে কার্যকর করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন, Budget 2022: মঙ্গলে পেশ কেন্দ্রীয় বাজেট, তার আগে দেখে নিন কী কী পেয়েছে ভারতীয় নারীরা

উল্লেখ্য, স্টার্ডাড ডিডাকশন শুধুমাত্র সেই কর্মচারীর জন্যই উপলব্ধ, যারা পুরোনো ট্যাক্স ব্যবস্থা বেছে নেন। অর্থাৎ সরলীকৃত নতুন ব্যক্তিগত আয়কর ব্যবস্থার অধীনে এটি উপলব্ধ নয়। প্রসঙ্গত, এই ছাড়টি পুনরায় চালু করার সময় কর্মীচারীদের চিকিৎসা ভাতা, যানবাহন ভাতা ইত্যাদির জন্য উপযুক্ত ছাড়গুলি প্রত্যাহার করা হয়েছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল  এটিকে স্টার্ডাড ডিডাকশন দিয়ে প্রতিস্থাপন করা ও এই কাজে অযথা কাগজপত্র জমা করার সমস্যা কমানো। পাশাপাশি পেনশনভোগীদের জন্য সুবিধা বাড়িয়ে দেওয়া। তাঁরা যেহেতু চিকিৎসা এবং পরিবহণে কোনও ছাড় পান না। তবে সেসময় বাড়ি থেকে কাজ করার উদাহরণ খুব একটা দেখা যেত না।

তাই বর্তমান স্টার্ডাড ডিডাকশনে এখনকার মতো বাড়ি থেকে কাজ করার জন্য ছাড়ের সীমা হিসেবে বিবেচনা করা উচিত হবে না বলে দাবি ওয়াকিবহালমহলের একাংশের। তাই এবারের বাজেট ২০২২ তে অফিসে পরিণত হওয়া বাড়ির খরচের জন্য একটি নতুন ছাড় আনা উচিত বা যারা বাড়ি থেকে কাজ করছেন তাঁদের জন্য স্টার্ডাড ডিডাকশনের সীমা বাড়িয়ে দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন অনেকেই।